পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্দিরের পূর্বকথা বৈদিক যুগ হইতে ক্রিয়াকাণ্ড বেদীর উপরই সম্পাদিত হইতেছে। বাঁধান বৃক্ষমূল, গ্ৰাম্য দেব-দেবীর পীঠস্থান ও বেদী পথপাশ্বে এখনও অজস্ৰ দেখা যায়। পল্লীবাসীকে এই সব বেদীর চারিপাশ্বে সমবেত হইয়া আরাধ্য দেব-দেবীর আরাধনা করিতে দেখা যায় । মানবের চিন্তাশক্তির ক্রমবিকাশের ও উন্নতির সহিত তাহার সরল চিন্তার মাধুৰ্য্য নিবিড়ভাবে উপলব্ধি ও রূপায়িত করিবার জন্য মানব উদ্যত হয়। মাটি, কাঠ, ধাতু ও পাথরে তাহার কল্পনাকে ধরিয়া রাখিবার জন্য মানুষ শিল্প সৃষ্টি করিতে আরম্ভ করিল, এমন কি এই মানব-চক্ষে যাহা দৃষ্ট হয় সে যে কেবল তাহারই রূপ দিতে প্ৰয়াস পাইল তাহ নয়, যাহা মানব কল্পনা করিতে বা অন্তদৃষ্টিতে ধ্যান করিতে পারে না। তাহারও রূপ। সে জড়ের মধ্যে ফুটাইয়া তুলিবার চেষ্টা চলিল। তখনই মানব তাহার শ্রেষ্ঠ চিন্তার সাহায্যে সেই সর্ববনিয়ন্তার রূপ কল্পনা করিতে, এবং তঁহারই নানা বিভূতি ব্যক্ত করিবার জন্য দেবমূৰ্ত্তি গঠন করিতে আরম্ভ করিল। যখন দেবমূৰ্ত্তি গঠিত হইল তখন তাহাকে রাখিবার জন্য গৃহ আবশ্যক। প্রিয় ও শ্রদ্ধার জিনিষ সযত্নে ও সুশ্ৰী স্থানে স্থাপন করাই মানবের প্রকৃতি । সেই জন্য দেব-দেউলগুলিকে সুন্দর ও সুদৃঢ় করিবার জন্য সকল দেশের ও সমাজের ব্যক্তিবগ নানা কারুকাৰ্য্য ও শিল্পসৃষ্টিতে তাহদের শক্তি নিয়োগ করিল। জগতে মন্দিরগঠনের প্রাতঃসূৰ্য্য উদিত হইল। জাতির সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রূপ গ্ৰহণ করিল। R\US