পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল ধ্বজস্তম্ভদ্বয়, সেতু, দ্বিতল প্ৰদক্ষিণ-পথ, মণ্ডপ ও তোরণ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এইগুলির দ্বারা এক অপূর্ব স্থাপত্য-নিদর্শন সৃষ্ট হইয়াছে। সেইজন্য ফাগুসান সাহেব যথার্থই বলিয়াছেন— "...... which give to the whole a complexity, and at the same time a completeness, which never fail to strike the beholder with astonishment and awe.” বিমানের চারিদিকের পাঁচটি ক্ষুদ্র কক্ষ ও সম্মুখের চাদনী এবং নন্দী-মণ্ডপ মিলিত হইয়া মূল শিবালয় গঠিত । ইহার জানালার সম্মুখের বারান্দার উপর দিয়া শিবলিঙ্গ প্ৰদক্ষিণ করিবার পথ। এই পাঁচটি কক্ষ এখন শূন্য, কিন্তু ‘কেন্ভূ টেম্পল অক্‌ ইণ্ডিয়া' গ্রন্থের ৪২৮, ৪৩৪ ও ৪৫৩ পৃষ্ঠায় এই কক্ষগুলিতে প্রতিষ্ঠিত দেবদেবীর পরিচয় আছে। মূল মন্দির হইতে বাহির হইয়া প্ৰদক্ষিণ-পথের দক্ষিণ ভাগে অগ্রসর হইলে সপ্ত-মাতৃকার মন্দির। তাহার পশ্চাতের দেওয়ালের গাত্রে শিবমূৰ্ত্তি ক্ষোদিত ; পার্শ্বে ভৃঙ্গ-সহ গণেশের মূৰ্ত্তিও বিরাজ করিতেছে, দক্ষিণ-পূর্ব কোণে চণ্ড, পূর্বে পাৰ্বতী ; উত্তর-পূর্ব কোণের কক্ষটি রুদ্র ভৈরব এবং উত্তরের মন্দির গণেশের জন্য ব্যবহৃত হইত। দক্ষিণ প্ৰান্তেই মন্দিরে উঠিবার প্রধান সোপানশ্রেণী অবস্থিত। সিঁড়ির ঘরের দক্ষিণ দিকের বাহির গাত্রে রামায়ণের লীলার ছবি এবং উত্তর দেয়ালে মহাভারতের নানা দৃশ্যাবলী অতি দক্ষতার ও সূক্ষমতার সহিত উৎকীর্ণ হইয়াছে। প্রত্যেকটি মূৰ্ত্তির ভাব, গঠন, প্রকাশ-শক্তি, ভঙ্গিমা এমনই সুস্পষ্ট হইয়াছে যেন সেগুলি এক একটি জীবন্ত চিত্র। YR