পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলোর

  • **

পর্বতাভ্যন্তরে গুহায়ী – ( কারান্তাগুলির ) প্রাচীরে ক্ষোদিত প্ৰমাণ আকারের মূৰ্ত্তিগুলি শিল্পীর দক্ষতা, সাধনা ও সৃষ্টিশক্তির পরিচয় প্ৰদান করে । শিল্পীর ভক্তিতে এবং অঙ্গুলি-চালনায় Rసా సాసా : Cr এই দেবদেবীর মূৰ্ত্তিগুলি এক একটি ভাবের প্রতীক হইয়া উঠিয়াছে । বিভিন্ন মূৰ্ত্তি, রামায়ণ-মহাভারতের লীলা-ক্ষোদিত প্ৰাচার-চিত্র হিন্দুর নানা পৌরাণিক ঘটনার পরিচয় প্ৰদান করে। হিন্দুধৰ্ম্মের প্রকৃত মৰ্ম্ম এই দৃশ্যাবলী-দর্শনে যেমন সহজে জানা যায় বহু শাস্ত্র ও পুস্তক অধ্যয়ন করিলেও তেমন সহজে জানা যায় না । কৈলাস-মন্দিরের ভাস্কৰ্য্য ও মূৰ্ত্তি—কারুকাৰ্য্যই যে শুধু ইহার পরম ঐশ্বৰ্য্য তাহ নয়, ইহার ছাদের ভিতর দিকের এবং মন্দিরের ভিতরের দেয়ালের ফ্রেস্কো ( প্ৰাচীর-চিত্ৰ ) অতি মনোরম-ভাবব্যঞ্জক ও রং ফলাইবার দক্ষতার পরিচায়ক । অজন্তার চিত্রাবলীর ন্যায়। ইহা প্রচুর না হইলেও প্ৰাচীনতায় এবং অঙ্কন-পদ্ধতিতে ইলোরার ফ্রেস্কো অজন্তার ফ্রেস্কোর সমান, এমন কি উৎকৃষ্ট । বিধৰ্ম্মীদের অত্যাচারে ইহা নষ্ট হইয়া গেলেও চিত্রগুলির যে অংশ অধুনা সংস্কৃত হইয়াছে তাহ প্ৰত্যেক শিল্পানুরাগীর চিত্তে আনন্দ প্ৰদান করিয়া থাকে। এই আংশিক প্ৰাচীর-চিত্রে অতীত কালের রূপ-দীক্ষদের নিপুণতা এবং রংএর উজ্জ্বলতা ও স্থায়িত্ব বৰ্ত্তমান যুগের বৈজ্ঞানিকদেরও বিস্মিত করিয়া দেয় । মন্দিরে হস্তী, শাৰ্দল এবং নানা পৌরাণিক জীব-জন্তুর মূৰ্ত্তি ক্ষোদিত রহিয়াছে। পশুগুলি পাশব শক্তির বিকাশক ; কেহ-বা লড়াই করিবার ভঙ্গিমায়, কেহ-বা অন্য জীবকে ছিন্ন-ভিন্ন SV)