পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল করিবার অবস্থায় রহিয়াছে, কাহারও তেজঃপূর্ণ অভিব্যক্তি ক্ষোদিত হইয়াছে। সকল মূৰ্ত্তির মধ্য হইতে এক মহাশক্তির ভাব প্ৰকাশিত হইয়াছে। মূল মন্দির একদল মত্তহস্তীর উপর যেন ন্যস্ত। হস্তীগুলির গঠন ও ভাব অতি নিখুত এবং NGONKRK মন্দিরের তলভাগে যে-সমস্ত রামায়ণ-মহাভারতের দৃশ্যাবলী দেখা যায় তাহা এক অবিচ্ছিন্ন ধারায় সর্ববস্থান ব্যাপিয়া রহিয়াছে। পোস্তার সর্বনিম্ন স্তরে রাবণের মূৰ্ত্তি যেমন তেজঃপূর্ণ তেমনই মহান। অন্যদিকে পোস্তায় দুর্গার মহিষাসুর-বধের মূৰ্ত্তি দেখিলে মহাশক্তিরই উপাসনা করিতে ইচ্ছা হয়। প্ৰবেশদ্বারের উত্তর দিকের মণ্ডপের সম্মুখে চতুভূজ শিবের প্রকাণ্ড মূৰ্ত্তি প্রাচীর-গাত্রে ক্ষোদিত, এই সংহার-মূৰ্ত্তি-দর্শনে পার্ববর্তী দেবী ভাতচিত্তে নতজানু হইয় তাহাকে স্তব-স্তুতি করিতেছেন। গুহার ভিতরের পশ্চাতের দেয়ালে কতকগুলি সাত-আট ফুট উচ্চ প্ৰমাণ আয়তনের দেবদেবীর মূৰ্ত্তি যেমনই ভাবব্যঞ্জক তেমনই শিল্পচাতুৰ্য্যমণ্ডিত । ( ১ ) পূর্ব দিকের অন্তে শঙ্খচক্ৰ-গদা-পদ্মা-শোভিত হস্তে বিষ্ণুমূৰ্ত্তি, দুই পার্শ্বে লক্ষীমূৰ্ত্তি পদ্মহস্তে দণ্ডায়মান। অপূর্ব এই মোহনমূৰ্ত্তি শিল্পীর সাধনায় অক্ষাদিত। (২) পিছন দিকের দেয়ালে বিপুলায়তন বরাহমূৰ্ত্তি পৃথিবীকে দন্তে উত্তোলন করিয়া বিষ্ণু-অবতারের বিশাল শক্তির পরিচয় প্ৰদান করিতেছে। (৩) পাৰ্বতীর তাপস মূৰ্ত্তি দেখিলে শ্রদ্ধায় চক্ষু আনত হয়। তিনি দক্ষিণ হস্তে শিবলিঙ্গ ও বামহস্তে গণপতিকে ধারণ করিয়া পতি ও পুত্রের প্রতি অনুরাগ ব্যক্ত করিতেছেন। ( ৪ ) মধ্যের কুঠরিতে ত্ৰিশূল, সাপ, ডমরু Σ 8