পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল ফাগুসান সাহেব পূর্বোক্ত পুস্তকের ১৪১ পৃষ্ঠায় এবং কানিংহাম সাহেব তাহার পুস্তকের ৪১২ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন যে, কয়েকটি শিলালিপি হইতে মন্দির-নিৰ্ম্মাণসময় ৯৫৪ হইতে У e o S. খৃস্টাব্দ ঠিক করা যায়। খাজুরাহোতে এখন প্ৰধান প্ৰধান ত্ৰিশটি মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। তাহার মধ্যে একতৃতীয়াংশ জৈন-, এক-তৃতীয়াংশ বৈষ্ণব- এবং বাকীগুলি সমস্তই শৈব-মন্দির। শৈব-মন্দিরগুলির মধ্যে কন্দৰ্য্য-মহাদেবের, বিষ্ণুদেউলের মধ্যে চতুভূজ বা রামচন্দ্রের এবং জৈন-মন্দিরগুলির মধ্যে পার্শ্বনাথের মন্দিরই শ্রেষ্ঠ। মন্দিরগুলির মধ্যেই প্ৰদক্ষিণপথ। মন্দিরগুলি নিশ্চয়ই এক সমদৰ্শী রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। চৌষটি যোগিনী ও ‘ঘণ্টাই’-মন্দিরের ভগ্নাবশেষ খাজুরাহের প্রাচীনতম যুগের ভাস্কর্য্যের নিদর্শন। ১০২১ খৃষ্টাব্দে গজনীর সুলতান মামুদ চান্দেলা-রাজ্য আক্রমণ করিয়া তাহার তদানীন্তন রাজধানী কলিঞ্জার-নগর লুণ্ঠন করিয়া তাহার দুর্গ ভূমিসাৎ করিয়া দিয়াছিলেন। তাহার সঙ্গে ঐতিহাসিক আবু রোহণ আসিয়াছিলেন ; তিনি লিখিয়াছেন যে, খাজুরাহে জিজোতীয় রাজপুতগণের সমৃদ্ধিশালী রাজধানী ছিল। আশ্চর্য্যের বিষয়, সে দিন মামুদের প্রলয়ঙ্কর ধ্বংসও তাণ্ডব-লীলায় খাজুৱাহে বিনষ্ট হয় নাই। সেই নিমিত্তই এই হাজার বৎসরের পুরাতন শিল্প-সম্ভার অটুট রহিয়াছে। খাজুরাহে দুৰ্গম স্থানে অবস্থিত বলিয়াই বিধৰ্ম্মীদের হাত হইতে রক্ষা পাইয়াছে। তাহার পরেও যখন ১২০৩ খৃষ্টাব্দে মুসলমানগণ চান্দেলা-রাজ্য বিধ্বস্ত করেন, তখনও খাজুরাহের স্থাপত্য-কীৰ্ত্তি সেই ধবংসলীলার হাত হইতে রক্ষা পায় । VN9