পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল রসাধুত করিয়া থাকে। ইহাই শিল্পীর সৃষ্টি-শক্তির ও সাধনার পরিচায়ক । সেইজন্যই ভারতের শিল্পীদের একাধারে স্রষ্টা ও ধৰ্ম্ম প্রচারক বলা হইয়া থাকে। কেবল দেব, যক্ষ ও মানবমূৰ্ত্তি-সৃষ্টিতেই যে শিল্পীরা কৃতী ছিলেন তাহা নয়, পশু-পক্ষী, জীব-জন্তু ও পত্র-পুষ্প-ক্ষোদানেও র্তাহারা সিদ্ধহস্ত ছিলেন। কানিসে, দরজায়, চৌকাঠে, ভিত্তিতলে ও পোস্তায়—হস্তীর দল, উষ্ট্রের সারি, বৃষের পাল, অশ্বারোহি-বাহিনী বা বকের সারির খোদাই যেমন সুস্পষ্ট তেমনই সজীব । এই গুলি শিল্পীর প্রাণিতত্ত্ব-জ্ঞানের পরিচয় প্ৰদান করে। ইহাতে সে যুগের সম্পদ-ও ঐশ্বৰ্য্য-প্ৰিয়তাও প্ৰকাশ পায় । মন্দিরের দ্বারের চৌকাঠের উপর দুই ইঞ্চি পরিমাণের অসংখ্য যোদ্ধার মূৰ্ত্তি এবং শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-শোভিত নারায়ণ-মূৰ্ত্তিগুলি যেমন সূক্ষন তেমনই ভাবোদাপক। এইগুলি শিল্পীর অধ্যবসায় ও অঙ্গুলী-সঞ্চালনের অপূর্ব শক্তির পরিচয় প্ৰদান করে। মন্দিরের প্রথম প্রবেশ-দ্বারটি মকর-তোরণ। তাহার গঠনপদ্ধতি, স্থাপত্য, কারুকাৰ্য্য অতি সূক্ষন, নিপুণ ও মনোরম। মণ্ডপ তিনটির ছাদের তলার সজ্জা ও কারুকাৰ্য্য এমনই মনোহর যে, স্বচক্ষে না দেখিলে তাহার সৌন্দৰ্য্য উপলব্ধ হয় না। পদ্মাপত্রের ন্যায় পাথর কাটিয়া-চাটিয়া থাকে থাকে পঞ্চম, সপ্তম, নবম ও দ্বাদশ স্তরে কারুকাৰ্য্য-মণ্ডিত করিয়া ছাদের তলা (সিলিং ) ক্ষোদিত হইয়াছে। পাথরের slab, বা টুকরা কাটিয়া যে কাজ করা হইয়াছে তাহা ঠিক যেন পীচুবোর্ড বা তক্তা কাটিয়া কাজ করার মত। যেন এক একটি জাপানী কাগজের 8や