পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল খাজুৱাহাের ত্রিশটি মন্দিরই হিন্দু ও জৈন স্থাপত্যের নিদর্শন। বৌদ্ধ বিহার বা মঠের কোন নিদর্শন নাই। হিউয়েন-সাঙ খাজুরাহের যে দশটি বিহার বা মঠের বর্ণনা করিয়াছেন তাহারই ভাস্কর্য্যের নিদৰ্শন-স্বরূপ কেবল একটি প্ৰকাণ্ড বুদ্ধমূৰ্ত্তি দেখা যায়। কারণ এই মূৰ্ত্তির গঠনভঙ্গিমা সপ্তম বা অষ্টম শতাব্দীর মতন এবং প্রস্তরের বয়স হইতেও ইহা অষ্টম শতাব্দীর পূর্বের বলিয়া মনে হয়। খাজুরাহাের সন্নিকটে যে উচ্চ টিলা দেখা যায় তাহাই সেই বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ এইরূপই অনুমান হয় । জি. আই. পি. রেলপথের ঝাঁসী-মাণিকপুর শাখার উপর হরপালপুর অথবা মহাকাবা ষ্টেশনে অবতীর্ণ হইয়া ছত্তরপুর গমন করিতে হয়। হরপালপুর হইতে নওগাঁ বার মাইল। নওগাঁ অতি মনোরম ক্ষুদ্র নগর, ইহা বুন্দেলখণ্ড এলেকার এজেণ্ট সাহেবের প্রধান বাসস্থান ও দপ্তরখানা। হরপালপুর হইতে মোটরবাস-যোগে নওগাঁ হইয়া চব্বিশ মাইল গেলে ছত্তরপুরে উপনীত হওয়া যায়। হরপালপুর ও নওগাঁর মধ্যের রাজপথ পরিচ্ছন্ন ও সুশ্ৰী । নওগাঁয়ে ফৌজদারদের সামরিক কৌশল শিক্ষাদানের বিখ্যাত “কিচনার কলেজ”। ছত্তরপুরে ডাক-বাঙ্গলায় রাত্রিযাপন করিয়া, পরদিন পান্না যাইবার বাস সাভিসে একুশ মাইল আসিয়া, “বোমভীটা” তাহসীলে বাস পরিবর্তন করিয়া, রাজনগরগামী মোটর গাড়ীতে সাত মাইল গমন করিলে খাজুৱাহোতে পৌছান যায়। রেল ষ্টেশন হইতে মোট ৬৪ মাইল রাস্তা আসিতে তিনবার মোটরবাস বদলী করিতে হয় এবং সময়-মত বাস-চলাচলের Gło 키에