পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Cegist5 দেবী-মুৰ্ত্তিগুলির মধ্যে অষ্ট শক্তির আটটি মূৰ্ত্তি ; গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর তিনটি মূৰ্ত্তি, তাণ্ডব-নৃত্যরত কালীমূৰ্ত্তি চারিটি, আর চৌষট্টি যোগিনীর মধ্যে যোগিনীমূৰ্ত্তি সাতান্নটি দেখিতে পাওয়া যায়। ৭টি যোগিনীমূৰ্ত্তি বিনষ্ট হওয়াতে তাহদের কেবল শূন্য আসন পড়িয়া রহিয়াছে। জেনারেল কানিংহাম সাহেব এই মন্দিরকে চৌষট্টি যোগিনীর মন্দির বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। (A.S.I. Vol. IX, p. 68)। যোগিনীরা মহাশক্তি কালী বা দুৰ্গার অনুচরী। রণোন্মত্ত রাজা বা বীরগণ মহাশক্তির আরাধনা করিয়া জয়যুক্ত হইলে শক্তির মূৰ্ত্তি স্থাপনা করিয়া তাহার অনুচরীদেরও মূৰ্ত্তির প্রতিষ্ঠা ও পূজার ব্যবস্থা করিতেন, কেহ কেহ চৌষট্টি যোগিনীর মন্দিরও স্থাপনা করিতেন। খাজুরাহোতে এই প্ৰকার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। রাণীপুর ঝারিয়ালে ৬৫টি কুঠরিযুক্ত মন্দিরে ৬২ যোগিনী বিরাজিত রহিয়াছে, বারাণসীতে চৌষট্টি যোগিনীর ঘাট এখনও প্ৰসিদ্ধ। “রাজতরঙ্গিণী”-গ্রন্থে এই যোগিনীগণ নিম্নস্তরের দেবীরূপে উল্লিখিত হইয়াছেন, ইহাতে ডাকিনী-যোগিনীদের বীভৎস রূপ এবং ভীতি প্ৰদ রক্তপান ও মাংসাহারের বর্ণনা আছে ; “প্ৰবোধ-চন্দ্ৰোদয়” গ্রন্থে তাহারা সমরক্ষেত্রে নরমুণ্ডের খুলিকে শোণিত পান করিবার জন্য পানিপাত্ৰ-রূপে ব্যবহার করিত বলিয়া লিখিত আছে ; “রুদ্র-উপনিষদো’ বর্ণিত আছে যে, জলন্ধরকে নিধন করিয়া শিব ধ্যানমগ্নচিত্তে যোগিনীদের আহবান করিলেন, সেই সময়ে যোগিনীরা আবিভূতি হইলে শিব তাহাদিগকে সেই বিপুলকায় দৈত্যের রক্তপান করিয়া GG চৌষটি যোগিনী