পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভেড়াঘাট করেন। তাহার পর কোন ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক অন্যরূপ কোন মীমাংসা করেন নাই । কিন্তু লিপির ধারা অনুযায়ী ভবপতি রাজার সমসাময়িক মালোয়ার যুবরাজের পিতা লক্ষণের সময়ে এই মন্দির নিৰ্ম্মিত বলিয়া বিশেষজ্ঞেরা মত প্ৰকাশ করিয়াছেন । ৯৫০ হইতে ৯৭৫ খৃষ্টাব্দে লক্ষণ রাজত্ব করেন। উক্ত মতের উপর নির্ভর করিলেও মন্দিরটি হাজার বৎসরের প্রাচীন প্ৰতিপন্ন হয়। অধ্যাপক হল ভেড়াঘাটের মন্দিরের শিলালিপিপাঠে এই মন্দির ১১০০ খৃষ্টাব্দের বলিয়াছেন। এই স্থানের দেবী-মূৰ্ত্তিগুলি সত্যই অদ্ভুত। শ্যামা মায়ের ভক্ত বাংলা দেশের অধিবাসী তান্ত্রিক দেবীমূৰ্ত্তি দেখিলে বিশেষ আনন্দিত হয়। মূৰ্ত্তিগুলির মুখশ্ৰী ও দেহভঙ্গিমা গুপ্ত-যুগের শিল্পিগণের ঐকান্তিক সাধনায় যেমন সু। শ্ৰী তেমনি ভাবব্যঞ্জক হইয়াছে । দশভূজ মূৰ্ত্তি দেখিলে বাঙ্গালামাত্রেরই হৃদয়ে ভক্তি ও পুলিকের সঞ্চার হয়। এখনও যে সব মূৰ্ত্তি অটুট রহিয়াছে তাহা দেশবিদেশের শিল্পানুরাগীর মনে আনন্দ প্ৰদান করে । চক্ষু, কৰ্ণ, নাসিক, বদন, বক্ষঃ, কটি, হস্ত, পদ এবং অঙ্গালীর ভঙ্গিমা এমনই সুন্দর যেন শরীরগঠন-শাস্ত্রের (Anatomyার) প্রতি ছত্ৰ প্ৰতিপালিত হইয়াছে। এই মূৰ্ত্তি-সংগ্ৰহালয় দেখিলে আদি মন্দিরের বিশাল আয়তন, অপূর্ব ভাস্কর্য এবং মনােরম কারুকাৰ্য্য কল্পনা করা যায়। বাস্তপ: ঐশ্বৰ্য্য বিমুখ ভারতবাসী তাঁহাদের শ্রেষ্ঠ সাধনা, শক্তিসামৰ্থ, বিত্ত সবই দেবতার উদ্দেশ্যে প্ৰদান করে। প্ৰকৃতিও দেব-দেউলের জন্য শ্রেষ্ঠ অৰ্ঘ্য এই সব স্থানে সাজাইয়৷ রাখিয়াছে । Ved