পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভৗলসনা-বাসুদেবের মন্দির ও গরুড়স্তম্ভ ভারত, মিশর, রোম ও গ্রীসের মূৰ্ত্তি-গঠনের সাধনা যুগযুগান্তর হইতে শিল্পিগণকে নানা পরিকল্পনায় অনুপ্ৰাণিত করিয়া আসিতেছে। ভারতের শিল্পশাস্ত্ৰ মনুষ্যমূৰ্ত্তি-গঠনের নির্দেশ দেয় নাই। মনুষ্যমূৰ্ত্তি গঠন করিবার অভ্যাস শিল্পীর অর্থলোভ বৃদ্ধি করিয়া দেয় ; মানবের অভিলাষ চরিতার্থ করিবার জন্যই তার শক্তি নিযুক্ত হয়। দেবমূৰ্ত্তি গঠন করিবার প্রয়াস থাকিলে শিল্পীর অপূৰ্বৰ সাধনার ও সংযমের প্রয়োজন ; আরাধা দেবতার অনুপ্রেরণায় তাহার সমস্ত কলাশক্তি উদ্বোধিত হয়, শিল্পী নিত্য নূতন পরিকল্পনা করিবার শক্তি অৰ্জন করে ; শিল্পীর স্বাধীন চিন্তাশক্তির বিকাশ হয় ; সে অপূর্ব সৌন্দৰ্য সৃষ্টি করিতে সমর্থ হয়। সেই নিমিত্ত ভারতের শিল্প সম্পদ যুগে যুগে দেশ-দেশান্তর হইতে সৌন্দৰ্য্যের উপাসক শিল্পানুরাগীকে আকৃষ্ট করিয়া আসিতেছে। ভারতের শিল্পীদিগের সাধনা দর্শকদিগের মন চিরকাল আনন্দে ভরিয়া দেয়। সাধকগণ ভারতীয় শিল্পসম্পদের মধ্যে সৎ-চিৎ-আনন্দময়ের সন্ধান পান । সহরের কোলাহল ও সাংসারিক দুঃখ-দৈন্যের মধ্যে মানবের চিত্ত স্থির থাকে না, তাই সাধকের সাধনার জন্য নিৰ্জন স্থান ও প্ৰকৃতির সৌন্দর্ঘ্যের লীলা-নিকেতন অন্বেষণ করেন। হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ সাধকেরা ভারতে রম্য স্থানেই মন্দির, গুহা বা বিহায় নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। VO)