পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীলসা করিতে পারিলেন না । ঠাণ্ড জলে সু্যান করাতে র্তাহার সর্দি ও জ্বরবিকার হয় এবং জীবন-সংশয় হইয়া উঠিল। হিলিওডোরাস ও র্তাহার জননীর সেবায় রাজপুত্র আরোগ্য লাভ করিলেন । গ্ৰীক-নরপতি হস্তী সংগ্রহ এবং বন্ধুত্ব দৃঢ়তর করিবার জন্য মালোয়ার রাজধানীতে হিলিওডোরাসকে রাজদূত নিযুক্ত করিলেন। বিদায়কালে মালোয়ার রাজকুমার সম্রাটুকে পত্রে হিলিওডোরাসের সদব্যবহারের কথা জানাইলেন। তঁহাদেরই যত্নে যে তাহার জীবন-লাভ হইয়াছে সে কথা উল্লেখ করিয়া হিলিওডোরাসকে নিজ-পরিবারভুক্ত করিয়া রাখিবার অনুরোধ জ্ঞাপন করিলেন। বিদেশে অবস্থিত পুত্রের বিরহে কাতর মালোয়ার সম্রাটু অপত্যস্নেহে বিগলিত হইয়া হিলিওডোরাসকে সাদরে অভ্যর্থনা করিলেন এবং নিজপরিবার-ভুক্ত করিয়া রাখিলেন। মালোয়ার একমাত্র রাজকুমারী হিলিওডোরাসের সুগঠিত, দীর্ঘ ও সুশ্ৰী রূপে এবং নানা গুণে আকৃষ্ট হইলেন; হিলিওডোরাসও রাজকুমারীর সরল ও লজ্জাবনত ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া পড়িয়াছিলেন। সেই যুগে মালোয়ায় বসন্তোৎসব অতি জনপ্ৰিয় আনন্দোৎসব ছিল, সে সময়ে সকল নরনারী অবাধে। একত্র হইয়া পরস্পর নৃত্যগীতাদি উৎসবে মাতিয়া উঠিত। বসন্তোৎসব-দিনে যখন রাজার দুলালী “মাধবিকা” গাছের ডালে বুলান দোলনায় দুলিতে দুলিতে পুষ্পবীথিকায় চরণাঘাত করিতেছিলেন-তখন হিলিওডোরাস তাহার আরক্ত চরণের শোভায় মুগ্ধ হইয়া বলিলেন,-“আমি যদি পুষ্পবীথিক হইতাম, তাহা হইলে দেবীর চরণস্পর্শে ধন্য হইতাম।” মাধবিকা V