পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্রবিকাশের ধারা
৮৫

বিদেশীর আক্রমণ ও পরাধীনতা, অন্যদিকে ভারতের প্রাচীন কাল্‌চারের মন্থর অবনতি এবং শেষ পর্য্যন্ত পতন, এই দুইটি একসঙ্গে মিলিত হইল, তখনই প্রাচীন অনুষ্ঠানটি বহু অংশে ভাঙ্গিয়া পড়িল, দেশের সমাজ-রাষ্ট্রজীবন অধঃপতিত ও ছন্নছাড়া হইয়া গেল। পুনরভ্যুত্থান বা নূতন সৃষ্টির আর কোন যথেষ্ট উপায় বজায় রহিল না।

 ভারতীয় সভ্যতার উচ্চতম বিকাশ ও গৌরবের দিনে আমরা দেখিতে পাই, এক অপূর্ব্ব রাষ্ট্রশাসনপদ্ধতি। তাহা ছিল উৎকৃষ্টরূপে কার্য্যক্ষম এবং তাহা কম্যুন্যাল স্বায়ত্তশাসনের সহিত দৃঢ়প্রতিষ্ঠতা ও সুশৃঙ্খলার পূর্ণ সমন্বয়সাধন করিয়াছিল। ষ্টেট্ নিজের শাসন, বিচার, অর্থনীতি ও দেশরক্ষাবিষয়ক কার্য্য নির্ব্বাহ করিত, কিন্তু ঐ সকল বিভাগে জনসাধারণের এবং তাহাদিগকে লইয়া গঠিত অনুষ্ঠানসকলের অধিকার ও স্বাধীন কার্য্যে বিঘ্ন বা হস্তক্ষেপ করিত না। রাজধানীতে ও দেশের মধ্যে রাজকীয় আদালতগুলি ছিল শ্রেষ্ঠ বিচারালয়, সেগুলি সমস্ত রাজ্যের বিচারকার্য্যের মধ্যে সঙ্গতিবিধান করিত; কিন্তু গ্রামসঙ্ঘ ও নগরসঙ্ঘগুলি নিজেদের আদালতে যে শাসনক্ষমতা অর্পণ করিয়াছিল, তাহার উপর রাজকীয় বিচারালয়গুলি অযথাভাবে হস্তক্ষেপ করিত না। এমন কি,