পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৬
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

বিভক্ত করিয়া রাখিয়াছে। রাষ্ট্রনীতিক ব্যাপারে ঐক্যবৃদ্ধি, এবং বর্ত্তমানে অর্থনীতিক ব্যাপারে পরস্পরের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরতা, কেবল ইহাই শেষ পর্য্যন্ত যাহা সৃষ্টি করিয়াছে তাহা ঐক্য নহে, একটি League of Nations বা জাতিসঙ্ঘ, তাহাও এই সবেমাত্র গড়িয়া উঠিতেছে, এখনও বিশেষ কোন কাজের হয় নাই, তাহা যুগযুগান্তের দ্বন্দের ফলে যে মনোভাব সৃষ্ট হইয়াছে সেইটিকে য়ুরোপীয় জাতিসকলের সাধারণ স্বার্থে নিয়োজিত করিবার বৃথা চেষ্টা করিতেছে। কিন্তু ভারতে অতি প্রাচীনকালেই আধ্যাত্মিকতা ও কৃষ্টিমূলক ঐক্য পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, এবং তাহাই হইয়াছিল হিমালয় ও দুই সাগরের অন্তর্বর্ত্তী এই বিরাট জনসমূহের জীবনের মূল উপাদানস্বরূপ। প্রাচীন ভারতের লোকসকল কখনই রাষ্ট্রনীতিক ও অর্থনীতিক জীবনে পরস্পর হইতে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত পৃথক পৃথক জাতি ততটা ছিল না যতটা তাহারা ছিল এক মহান্ আধ্যাত্মিক ও কৃষ্টিসম্পন্ন জাতির অন্তর্গত বিভিন্ন উপজাতি; সেই মহাজাতিটি ভৌগলিক সংস্থানে সমুদ্র ও পর্ব্বতমালার দ্বারা অন্যান্য দেশ হইতে যেমন সুদৃঢ়ভাবে পৃথক ছিল, তেমনিই তাহার বিশিষ্ট ধর্ম্ম ও কৃষ্টির দ্বারা অন্যান্য জাতি হইতেও পৃথক ছিল। অতএব দশটি