পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

থাকার দরুণ, ইহা অবশ্যম্ভাবীই ছিল যে, ভারত নিজের যে ঐক্য প্রথমে সৃষ্টি করিবে তাহা হইবে আধ্যাত্মিক ও কৃষ্টিমূলক ঐক্য। রোমে অথবা প্রাচীন পারস্যদেশে বিজয়ী রাজ্য বা সমরতান্ত্রিক সংগঠনশীল জাতির প্রতিভাকর্ত্তৃক কেন্দ্রানুগত বাহ্যিক শাসনের দ্বারা যে রাষ্ট্রনীতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, ভারতে প্রারম্ভেই সেরূপ ঐক্যসাধন সম্ভব হয় নাই। আমার মনে হয় না যে, এটা ভুল হইয়াছিল, এটা ভারতবাসীর ব্যবহারিক বুদ্ধির অভাবের প্রমাণ, বা এক রাষ্ট্র প্রথমেই গঠন করা উচিত ছিল, পরে এক স্বাধীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের সুবিশাল শরীরের মধ্যে আধ্যাত্মিক ঐক্য নিশ্চিতভাবে বিকাশলাভ করিতে পারিত। প্রারম্ভেই যে-সমস্যাটি উঠিয়াছিল সেটি হইতেছে শতাধিক রাজ্য, কুল, জাতি (races), গোষ্ঠীর আবাস ভূমি এক অতি বিরাট দেশের সমস্যা, এ-বিষয়ে আর একটি গ্রীসেরই ন্যায়, কিন্তু বিশালভাবে বিস্তৃত গ্রীস্, আকারে প্রায় আধুনিক য়ুরোপেরই ন্যায় বৃহৎ। গ্রীসে যেমন মূলগত ঐক্যবোধের সৃষ্টি করিতে হেলেনিক্ (hellenic) কৃষ্টির ঐক্য প্রয়োজন হইয়াছিল, এখানেও এবং আরও অলঙ্ঘনীয়রূপে এই সকল লোকের মধ্যে একটা সচেতন আধ্যাত্মিক ও কৃষ্টিমূলক ঐক্য প্রথম ও অপরিহার্য্য প্রয়োজন ছিল, ইহা ব্যতীত কোনও স্থায়ী ঐক্য সম্ভবপর ছিল না। এ বিষয়ে ভারতীয়