পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় ঐক্যসাধন সমস্যা
১০৭

কালে, চরম অধঃপতনের যুগে, বিশেষতঃ মহারাষ্ট্র সংগঠনের শেষভাগে এইরূপই ঘটিয়াছিল), কিন্তু বাস্তবিকই তাহা সমাজে ভেদবৈষম্য সৃষ্টি করিবার এবং মুক্ত ও জীবন্তভাবে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় জীবনের পুনর্গঠনের পরিপন্থী অচলায়তন বিভাগ সৃষ্টি করিবার গৌণ শক্তি হইয়া দাঁড়াইয়াছিল।

 ব্যবস্থাটির আনুসঙ্গিক দোষগুলি মুসলমান আক্রমণের পূর্ব্ব পর্য্যন্ত বিশেষভাবে প্রকাশ পায় নাই, কিন্তু সূত্রপাতরূপে সেগুলি পূর্ব্ব হইতেই বর্ত্তমান ছিল, এবং পাঠান ও মোগল সাম্রাজ্যের দ্বারা যে অবস্থানিচয়ের সৃষ্টি হয় তাহার মধ্যে সে-গুলি দ্রুত বৃদ্ধি পাইয়াছিল। এই-সব উত্তরকালীন সাম্রাজিক অনুষ্ঠান যতই জাঁকজমকপূর্ণ ও শক্তিশালী হউক তাহাদের স্বরূপ স্বৈরাচারমূলক (autocratic) ছিল বলিয়া তাহারা পূর্ব্ববর্ত্তী সাম্রাজ্য সকল অপেক্ষা আরও অধিক পরিমাণে কেন্দ্রানুবর্ত্তিতার দোষগুলি পাইয়াছিল, এবং কৃত্রিম ঐক্যসাধন ব্যবস্থার প্রতি ভারতের প্রাদেশিক জীবনের সেই একই বিরোধিতার ফলে সেগুলি পুনঃ পুনঃ ভাঙ্গিয়া পড়িতেছিল, অথচ জাতির জীবনের সহিত তাহাদের কোনও সত্য, জীবন্ত যোগ না থাকায় তাহারা এমন সাধারণ দেশাত্মবোধের সৃষ্টি করিতে পারে নাই যাহা তাহাদিগকে বিদেশীর আক্রমণ হইতে রক্ষা করিতে পারিত। অবশেষে আসিয়াছে এক যন্ত্রবৎ পাশ্চাত্য শাসন, তাহা অবশিষ্ট সাম্প্রদায়িক ও