পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

করার সামরিক ও রাষ্ট্রনীতিক প্রয়োজন তাঁহারা দর্শন করিয়াছিলেন, কিন্তু তাঁহারা আবার ইহাও দেখিয়াছিলেন যে, প্রদেশ সকলের স্ব-তন্ত্র জীবন বা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করিয়া ঐ ঐক্যসাধন উচিত নহে, অতএব কেন্দ্রীভূত রাজতন্ত্র অথবা কড়াকড়িভাবে ঐক্যমূলক সাম্রাজিক ষ্টেটের দ্বারা উচিত নহে। তাঁহারা দেশবাসীর মনে যে-আদর্শ সৃষ্টি করিতে চাহিয়াছিলেন, পাশ্চাত্য দেশে তাহার নিকটতম সাদৃশ্য হইতেছে এক সামাজিক আধিপত্যের অধীনে বিভিন্ন স্ব-তন্ত্র জাতি ও রাজ্যের সম্মেলন, “a hegemony or confederacy under an imperial head.”

 এই আদর্শকে কার্য্যে পরিণত করা যে কখনও সম্ভব হইয়াছিল তাহার কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই, যদিও পৌরাণিক কিম্বদন্তী এই যে, যুধিষ্ঠিরের ধর্ম্মরাজ্যের পূর্ব্বেও এইরূপ রাজ্য কয়েকবারই স্থাপিত হইয়াছিল। বুদ্ধের সময়ে এবং পরে চন্দ্রগুপ্ত ও চাণক্য যখন ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সাম্রাজ্য গঠন করিতেছিলেন, তখনও দেশ স্বাধীন রাজ্য ও গণতন্ত্রে পূর্ণ ছিল, এবং আলেক্‌জান্দারের আক্রমণ প্রতিরোধ করিবার মত কোন ঐক্যবদ্ধ সাম্রাজ্য বর্ত্তমান ছিল না। পূর্ব্বে যদিই বা কখনও চক্রবর্ত্তীত্ব প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকে, তাহাকে স্থায়ী করিবার ব্যবস্থা বা প্রণালী আবিষ্কৃত হয় নাই ইহা বুঝা যায়। যদি সময়