পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

মানেরা আসিয়া ভেদ করে, এবং অল্প সময়ের মধ্যেই উত্তর দেশে সেই প্রাচীন সাম্রাজ্যটিকেই পুনর্গঠিত করে, তবে অন্য এক ধরণে, মধ্য এশিয়ার ধরণে।

 এই সব পূর্ব্বতন বিদেশী আক্রমণ এবং ইহাদের ফলাফল সকলের প্রকৃত গুরুত্ব কি তাহা হিসাব করিয়া দেখিতে হইবে, কারণ প্রাচ্যবিষয়ক গবেষকগণের অতিরঞ্জিত থিওরি বা মতবাদের দ্বারা অনেক সময়েই ভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। আলেক্‌জাণ্ডারের আক্রমণ ছিল বস্তুতঃ প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার (Hellenism) পূর্ব্বমুখীন বিস্তার, পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ায় তাহার কিছু কাজ করিবার ছিল, কিন্তু ভারতে তাহার কোনও ভবিষ্যৎ ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রগুপ্ত কর্ত্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ায় তাহার আর কোন চিহ্ণ পর্য্যন্ত বর্ত্তমান রহিল না। পরবর্ত্তী মৌর্য্যগণের দুর্ব্বলতার সময়ে গ্রীকো ব্যাক্‌ট্টিয়নগণের (Graeco Bactrians) যে-অভিযান ভারতে প্রবেশ করে, এবং সাম্রাজ্যটির পুনরুত্থিত শক্তির দ্বারা পরাভূত হয়, তাহা ছিল এমন এক গ্রীক সভ্যতাপ্রাপ্ত জাতির অভিযান যাহা ইতিপূর্ব্বেই ভারতীয় কৃষ্টির দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবান্বিত হইয়াছিল। পরে পার্থিয়ান, হূন ও শকগণের যে আক্রমণ আইসে তাহা ছিল আরও গুরুতর, এবং কিছুকালের জন্য আশঙ্কা হইয়াছিল উহা বুঝি ভারতের বিশিষ্ট সভ্যতার পক্ষে