পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২২
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

সহিত মিশিয়া গিয়াছিল। রোমক সাম্রাজ্যের অন্তর্গত দেশ সমূহে যেরূপ হইয়াছিল সেরূপ ভারতে বর্ব্বরজাতি সকল এক মহত্তর সভ্যতার উপরে নিজেদের আইনকানুন, রাষ্ট্রব্যবস্থা, বর্ব্বর আচার ব্যবহার চাপাইয়া দিতে সক্ষম হয় নাই। এই সব আক্রমণের এই সাধারণ তথ্যটি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য, এবং ইহার তিনটি কারণ নির্দ্দেশ করা যাইতে পারে। আক্রমণকারীরা ছিল সম্ভবতঃ সৈন্যদল মাত্র, জনসমূহ নহে; বিদেশীশাসনরূপে তাহাদের অধিকার একাদিক্রমে বহুদিন স্থায়ী হইতে না পাওয়ায় তাহার বিজাতীয় রূপটি দৃঢ় হইয়া উঠিতে পারে নাই, কারণ প্রত্যেক আক্রমণের পরই ভারতীয় সাম্রাজ্যটি আবার সবল হইয়া উঠিত, এবং বিজিত প্রদেশ সকলকে পুনরধিকার করিয়া লইত; এবং শেষতঃ, ভারতীয় কৃষ্টি এমনই সতেজভাবে প্রাণময় ও গ্রহণশীল যে আক্রমণকারিগণের দিক হইতে কোনরূপ মানসিক বাধাই সাঙ্গীকরণের প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করিতে পারে নাই। যাহাই হউক, যদি এই সব অভিযান খুবই গুরুতর হইয়া থাকে, তাহা হইলে ইহা স্বীকার করিতেই হইবে যে, ভারতীয় সভ্যতা অপেক্ষাকৃত তরুণ গ্রীকোরোমান্ সভ্যতা অপেক্ষা অধিকতর প্রাণশক্তি ও সুদৃঢ়তার পরিচয় দিয়াছিল; গ্রীকো-রোমান সভ্যতা টিউটন্ ও আরবদের আক্রমণে ভূলুণ্ঠিত হইয়াছিল, অথবা নীচে