বুদ্ধি নিয়োজিত হইয়াছিল। তাহা ছিল কীর্ত্তিমণ্ডিত, শক্তিশালী, জনহিতসাধক, এবং আরও বলা যাইতে পারে যে, আউরঙ্গজেবের প্রবল গোঁড়ামি সত্ত্বেও সেটি ধর্ম্মের ব্যাপারে মধ্যযুগের ও সমসাময়িক সকল য়ুরোপীয় রাজ্য ও সাম্রাজ্যের তুলনায় যে কত বেশী উদার ও সহনশীল ছিল তাহার ইয়ত্তা করা যায় না। এবং তাহার অধীনে ভারত সামরিক ও রাষ্ট্রনীতিক শক্তিতে, আর্থিক ঐশ্বর্য্যে এবং আর্ট ও কৃষ্টির গৌরবে অনেক উচ্চে উঠিয়াছিল। কিন্তু পূর্ব্ব পূর্ব্ব সাম্রাজ্যের ন্যায় এইটিও, বরং আরও শোচনীয় ভাবেই, ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিল, এবং সেই একই প্রণালীতে, বহিঃশত্রুর আক্রমণে নহে, অন্তর্বিপ্লবের ফলে। সামরিক ও শাসনমূলক কেন্দ্রগত সাম্রাজ্যের দ্বারা ভারতের জীবন্ত রাষ্ট্রনীতিক ঐক্যসাধন সম্ভব হয় নাই। আর যদিও প্রদেশ গুলিতে নবজীবনের অভ্যুত্থান দেখা দিতে আরম্ভ করিয়াছিল, কিন্তু সেই সময়ে য়ুরোপীয় জাতিগণের অনাহূত আগমনে এবং দেশের বিশৃঙ্খল অবস্থার সুযোগ গ্রহণে, সে সম্ভাবনা মুকুলেই বিনষ্ট হইয়াছিল; পেশোয়াগণের অকৃতকার্য্যতা এবং তাহার পরবর্ত্তী অরাজকতা ও অধঃপত্তনের বিষম বিশৃঙ্খলা তাহাদিগকে এই সুযোগ প্রদান করিয়াছিল।
ভাঙ্গনের যুগে দুইটি বিশিষ্ট সৃষ্টির দ্বারা ভারতের