পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাচীন ভারতে সমাজ ও রাষ্ট্র

ইহাকে নিক্ষেপ করা ছাড়া আর উপায় নাই, ইহার স্থানে য়ুরোপীয় সমাজ-ব্যবস্থার স্বাধীনতা, দক্ষতা ও পূর্ণতার আমদানী করিতে হইবে। এই সব ব্যাপারের প্রকৃত সত্য কি তাহা পূর্ব্বে জানা প্রয়োজন, তাহার পর ভারতীয় সভ্যতার রাষ্ট্রনীতিক, অর্থনীতিক ও সামাজিক দিকের গুণাগুণ বিচার করিলেই চলিবে।

 ভারতের ঐতিহাসিক বিকাশ সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা হইতে এবং তাহার প্রাচীন অতীত সম্বন্ধে অসম্পূর্ণ জ্ঞান হইতেই এই প্রবাদের উৎপত্তি হইয়াছে যে, ভারত রাষ্ট্রনীতিক ব্যাপারে অক্ষমতা দেখাইয়াছে। বহুকাল এই ধারণা প্রচলিত ছিল যে, ভারত আদিম আর্য্য ও বৈদিক সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বাধীন ব্যবস্থা হইতে একেবারে ব্রাহ্মণদের প্রভুত্ব ও অত্যাচার-পীড়িত সমাজব্যবস্থায় এবং স্বেচ্ছাচারী রাজতন্ত্রের অধীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় উপনীত হইয়াছিল এবং তাহার পর হইতে ভারতে এ-যাবৎ এই দুইটি ব্যবস্থাই বাহাল আছে। ভারতের ইতিহাস সম্বন্ধে এই ধারণা বর্ত্তমান ঐতিহাসিক গবেষণার দ্বারা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হইয়াছে। য়ুরোপীয় সভ্যতার ইতিহাসে যাহা বৈশ্য যুগ বলিয়া উক্ত, কলকারখানার বিস্তারে ধনের জন্য কাড়াকাড়ি এবং শ্রমিকের শোষণ চলিয়াছে এবং সাধারণতন্ত্রের নামে পার্লামেণ্টারি গবর্ণমেণ্ট চলিয়াছে, ভারতের ইতিহাসে