পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থার মূলনীতি ও স্বরূপ
২৭

মূল ভাবটিকেই ধরিয়া থাকে না, কিন্তু ইহাদের পশ্চাতে যে আত্মা রহিয়াছে, অধ্যাত্মসত্তা রহিয়াছে—তাহার সন্ধান পায় এবং সেই নিগূঢ় আত্মসত্তার মধ্যে সজ্ঞানে বাস করিতে শিখে, সে জাতিকে ধ্বংস পাইতে হয় না, অপরের সহিত মিশিয়া নিজেকে হারাইয়া ফেলিতে অথবা এক নূতন জাতির জন্য স্থান ছাড়িয়া দিয়া সম্পূর্ণভাবে লয় পাইতে হয় না, পরন্তু সে নিজেই বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোকসমাজকে অন্তর্ভুক্ত করিয়া লইয়া নিজের উচ্চতম স্বাভাবিক বিকাশসাধন করিতে পারে এবং মৃত্যুকে অতিক্রম করিয়া পুনঃ পুনঃ নবজীবন লাভ করিতে পারে। যদিই বা কোন সময়ে মনে হয়, এইবার বুঝি তাহার পূর্ণ ধ্বংস আসন্ন, তখনও সে আত্মার শক্তিতে পুনরুজ্জীবিত হইয়া উঠিতে পারে এবং হয় ত আরও এক অধিকতর গৌরবের যুগ আরম্ভ করিতে পারে। ভারতের ইতিহাস এইরূপই একটি জাতির ইতিহাস।

 যে মূল ভাব ভারতবাসীর জীবন, শিক্ষাদীক্ষা, সামাজিক আদর্শসমূহকে নিয়ন্ত্রিত করিয়াছে, তাহা হইতেছে—মানুষের প্রকৃত সত্তার, আত্মার সন্ধান করা এবং জীবনকে এমনভাবে কাজে লাগান, যেন জীবনের ভিতর দিয়াই মানুষ আত্মাকে লাভ করিতে পারে, অজ্ঞান প্রাকৃত জীবন হইতে উঠিয়া দিব্য অধ্যাত্মজীবনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে; অবশ্য দেহ, প্রাণ, মনের যে