পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

প্রথম কাঠামো এইরূপ অবস্থাতেই গড়িয়া উঠিয়াছিল; পরে যখন সামাজিক আত্মচেতনা জাগিয়া উঠিতে থাকে, তখনও সেই প্রাথমিক কাঠামো বর্জ্জিত হয় নাই, কেবল আরও সুগঠিত, পরিবর্দ্ধিত ও সুনিয়ন্ত্রিত হইয়াছিল, অতএব তাহা রাজনীতিক আইনকর্ত্তা বা সমাজনেতৃগণের দ্বারা সৃষ্ট হয় নাই। সকল সময়েই তাহা ছিল দৃঢ়ভাবে স্থিতিশীল প্রাণবান্ সমাজতন্ত্র, ভারতবাসীর মন, সহজাত সংস্কার ও প্রাণের সহজোপলব্ধির পক্ষে স্বাভাবিক।

 সমাজবিকাশের দ্বিতীয় স্তর আসে তখন, যখন জাতির সমষ্টিগত মন ক্রমশঃ অধিকতর বুদ্ধিতে সচেতন হয় প্রথমতঃ অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে, পরে আরও সাধারণভাবে, প্রথমতঃ স্থূলভাবে, ক্রমশঃ অধিকতর সূক্ষ্মভাবে এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রেই। তখন জাতি সমষ্টিগতভাবে নিজের জীবন, সামাজিক ধ্যানধারণা, অনুষ্ঠান ইত্যাদি বিকশিত চিন্তাশক্তির আলোকে পর্য্যালোচনা করে এবং শেষে বিশ্লেষণমূলক ও গঠনমূলক বুদ্ধির দ্বারা সকল বিষয়কে বিচার করিয়া দেখে ও নিয়ন্ত্রিত করে। এই অবস্থায় অনেক কিছু মহান্ হইবার সম্ভাবনা, আবার এই অবস্থার বিশিষ্ট বিপদ্‌গুলিও কম নহে। স্বচ্ছ বোধশক্তি এবং অবশেষে সঠিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বৃদ্ধিতে যে সব সুবিধা