পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

করিবে এবং সমষ্টিগত জীবনকে মূলতঃ প্রাণের প্রয়োজন, প্রেরণা, সহজোপলব্ধির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করিবে না, আবার তর্কবুদ্ধির রচনা অনুসারেও নিয়ন্ত্রিত করিবে না, পরন্তু তাহার মহত্তর সত্তা ও আত্মার সন্ধান পাইবে এবং প্রথমতঃ, প্রধানতঃ ও সর্ব্বদা সেই আত্মার ঐক্য, সহানুভূতি, স্বতঃস্ফূর্ত্ত স্বাধীনতা এবং সাবলীল ও সজীব নিয়ম অনুসারে সমষ্টির জীবনকে পরিচালিত করিতে আরম্ভ করিবে; ঐ আত্মার মধ্যেই ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত জীবনের স্বাধীনতা, পূর্ণতা ও ঐক্যের সূত্র নিহিত আছে। কিন্তু এইরূপ চেষ্টা আরম্ভ করিবারও মত উপযোগী অবস্থা এ পর্য্যন্ত কোথাও মিলে নাই। কারণ, এই অবস্থা তখনই আসিতে পারে, যখন অধ্যাত্মজীবনে পৌঁছান ও প্রতিষ্ঠিত হইবার চেষ্টা কেবল কতকগুলি অসাধারণ ব্যক্তিরই সাধনা থাকিবে না, কিম্বা সাধারণের মধ্যে লৌকিক গতানুগতিক ধর্ম্মাচরণেই পর্য্যবসিত হইবে না, কিন্তু এইটিই যে মানব-জীবনের অবশ্যপালনীয় প্রয়োজন এবং এইটিকে ঠিকভাবে, যথার্থভাবে লাভ করিয়াই মানবজাতি ক্রমবিকাশের পর্য্যায়ে আর এক পদ অগ্রসর হইতে পারে, লোক তাহা উপলব্ধি করিবে এবং সেই অনুসারে জীবনকে চালিত করিবে।

 তেজীয়ান্ স্বতঃস্ফূর্ত্ত প্রাণশক্তির যে প্রথম স্তর