পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থার মূলনীতি ও স্বরূপ
৩৭

তাহার ভিতর দিয়াই অন্যান্য দেশের ন্যায় ভারতেরও প্রথম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনসমষ্টি (Communities) গড়িয়া উঠিয়াছিল, প্রাণশক্তি সহজ ও স্বচ্ছন্দভাবে নিজের বিকাশের পথ ও আদর্শ ঠিক করিয়া লইয়াছিল, সমষ্টিগত প্রাণের সহজোপলব্ধি ও প্রকৃতি হইতেই জীবনের কাঠামো, সামাজিক ও রাষ্ট্রনীতিক অনুষ্ঠান বিকসিত হইয়া উঠিয়াছিল। ঐ জনসমষ্টিগুলি পরস্পরের সহিত সংমিশ্রিত হইয়া শিক্ষা-দীক্ষাগত ও সামাজিক ঐক্যে যেমন বাড়িয়া উঠিল এবং বৃহৎ হইতে বৃহত্তর রাষ্ট্র গড়িয়া তুলিল, তেমনই তাহাদের মধ্যে বিকশিত হইল এক সাধারণ আত্মা এবং এক সাধারণ ভিত্তি ও সাধারণ গঠন। তাহার মধ্যে ছোট ছোট ব্যাপারে স্বাধীন বৈচিত্র্যের যথেষ্ট স্থান ছিল। কঠোর একরূপতার (a rigid unifomity) কোনও প্রয়োজন ছিল না; সাধারণ আত্মা ও সাধারণ প্রাণের গতি ঐ বৈচিত্র্যবিকাশের স্বাধীনতার উপরে এক সাধারণ ঐক্যের সূত্র স্থাপন করিবার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। এমন কি, যখন বিশাল রাজ্য ও সাম্রাজ্যসকল গড়িয়া উঠিতেছিল, তখনও ঐ সব স্বভাবসিদ্ধ ছোট ছোট রাজ্য, গণতন্ত্র, জাতিগুলিকে যথাসম্ভব বজায় রাখিয়া অঙ্গীভূত করিয়া লওয়া হইয়াছিল, নূতন সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনে সেগুলিকে একবারে ধ্বংস বা বর্জ্জন করা হয় নাই। জাতির