পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

স্বাভাবিক ক্রমবিকাশে যাহা টিকিয়া থাকিতে পারে নাই বা যাহার আর কোন প্রয়োজন অনুভূত হয় নাই, তাহা আপনা হইতেই খসিয়া পড়িয়াছিল এবং অতীতের গর্ভে বিলীন হইয়াছিল; যাহা নূতন অবস্থা ও পরিবেষ্টনের অনুযায়ী আপনাকে স্বতঃই পরিবর্ত্তিত করিয়া লইয়া টিকিতে পারিয়াছিল, তাহাকে টিকিতে দেওয়া হইয়াছিল। ভারতবাসীর বিশিষ্ট প্রকৃতি ও জীবনবিকাশের ধারার সহিত যাহার নিগূঢ় সামঞ্জস্য ছিল, সে সবই ভারতের স্থায়ী সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের মধ্যে স্থান পাইয়াছিল।

 পরে যখন চিন্তাশীলতা ও বুদ্ধির উৎকর্ষসাধনের যুগ আসে, তখনও এই স্বতঃস্ফূর্ত্ত জীবনের নীতি সম্মানিত হইয়াছিল। সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ে, ধর্ম্মশাস্ত্রে ও অর্থশাস্ত্রে, ভারতের মনীষিগণ অব্যবহারিক তর্কবুদ্ধির (abstract intelligence) সহায়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভিন্ন আদর্শ রচনা করাকে নিজেদের কাজ বলিয়া মনে করিতেন না, সমষ্টিগত মন ও প্রাণের দ্বারা সমাজ-জীবনের যে সব অনুষ্ঠান ও ধারা পূর্ব্বেই গঠিত হইয়াছে, সেই সবকেই তাঁহারা ব্যবহারিক বুদ্ধির (Practical reason) সহায়ে বুঝিতে ও সুপরিচালিত করিতে চাহিতেন, আদিম অবয়বগুলিকে ধ্বংস না করিয়া তাহাদের