স্বাভাবিক ক্রমবিকাশে যাহা টিকিয়া থাকিতে পারে নাই বা যাহার আর কোন প্রয়োজন অনুভূত হয় নাই, তাহা আপনা হইতেই খসিয়া পড়িয়াছিল এবং অতীতের গর্ভে বিলীন হইয়াছিল; যাহা নূতন অবস্থা ও পরিবেষ্টনের অনুযায়ী আপনাকে স্বতঃই পরিবর্ত্তিত করিয়া লইয়া টিকিতে পারিয়াছিল, তাহাকে টিকিতে দেওয়া হইয়াছিল। ভারতবাসীর বিশিষ্ট প্রকৃতি ও জীবনবিকাশের ধারার সহিত যাহার নিগূঢ় সামঞ্জস্য ছিল, সে সবই ভারতের স্থায়ী সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের মধ্যে স্থান পাইয়াছিল।
পরে যখন চিন্তাশীলতা ও বুদ্ধির উৎকর্ষসাধনের যুগ আসে, তখনও এই স্বতঃস্ফূর্ত্ত জীবনের নীতি সম্মানিত হইয়াছিল। সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ে, ধর্ম্মশাস্ত্রে ও অর্থশাস্ত্রে, ভারতের মনীষিগণ অব্যবহারিক তর্কবুদ্ধির (abstract intelligence) সহায়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভিন্ন আদর্শ রচনা করাকে নিজেদের কাজ বলিয়া মনে করিতেন না, সমষ্টিগত মন ও প্রাণের দ্বারা সমাজ-জীবনের যে সব অনুষ্ঠান ও ধারা পূর্ব্বেই গঠিত হইয়াছে, সেই সবকেই তাঁহারা ব্যবহারিক বুদ্ধির (Practical reason) সহায়ে বুঝিতে ও সুপরিচালিত করিতে চাহিতেন, আদিম অবয়বগুলিকে ধ্বংস না করিয়া তাহাদের