পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূলনীতি ও স্বরূপ
৩৯

বিকাশ, দৃঢ়তা ও সামঞ্জস্যসাধন করিতে চাহিতেন, যাহা কিছু নূতন অবয়ব, নূতন ভাব গ্রহণ করা প্রয়োজন হইত, তাহা অবয়ব-বৃদ্ধি বা আবশ্যক পরিবর্ত্তন হিসাবেই গ্রহণ করা হইত, প্রাচীনের ধ্বংস বা বিপ্লবসাধন করিয়া নহে। এই ভাবেই পূর্ব্বপ্রচলিত রাষ্ট্রতন্ত্রগুলিকে পূর্ণ বিকসিত রাজতন্ত্রে পরিণত করা হইয়াছিল; রাজা বা সম্রাটের একাধিপত্যে বিদ্যমান অনুষ্ঠানগুলিকে অঙ্গীভূত করিয়া লইয়াই এই পরিবর্ত্তন সংসাধিত হইয়াছিল। উপরে রাজতন্ত্র বা সাম্রাজ্যতন্ত্র চাপিয়া বসায় তাহাদের অনেকেরই পদমর্য্যাদা ও স্বরূপের পরিবর্ত্তন হইয়াছিল বটে, কিন্তু যতদূর সম্ভব সেগুলি লুপ্ত হইয়া যায় নাই। ইহার ফলে আমরা ভারতে য়ুরোপের ন্যায় বুদ্ধি কর্ত্তৃক উদ্ভাবিত আদর্শের অনুসরণে রাজনীতিক প্রগতি (Progress) অথবা বিপ্লবমূলক পরীক্ষা দেখিতে পাই না; এইরূপ বুদ্ধির দ্বারা আদর্শ বা থিওরি রচনা করিয়া সমাজ ও রাষ্ট্রে বিপ্লবের ভিতর দিয়া প্রগতি ও পরীক্ষা প্রাচীন ও আধুনিক য়ুরোপের বিশিষ্ট লক্ষণ। অপর পক্ষে, প্রাচীন সৃষ্টিগুলির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ভারতীয় মনোভাবে সমধিক শক্তিশালী; কারণ, ঐ সৃষ্টিগুলি ভারতীয় মন ও প্রাণের স্বাভাবিক অভিব্যক্তি, ভারতের স্বধর্ম্মের সুষ্ঠু প্রকাশ; এই যে রক্ষণশীল প্রবৃত্তি, পরবর্ত্তী মহান্ বুদ্ধিবিকাশের যুগেও ইহা ক্ষুণ্ণ হয় নাই, বরং আরও