পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থার মূলনীতি ও স্বরূপ
৪১

প্রাণের সহজোপলব্ধিগুলিকে মিলাইয়া লইতে, বুদ্ধির আলোককে আনিয়াছে কেবল ইহাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করিতে, শৃঙ্খলা ও সামঞ্জস্থ্য স্থাপন করিতে। জীবনের নিশ্চিত ও স্থায়ী বাস্তব তথ্যের উপরেই তাহা নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহিয়াছে, আদর্শবাদের জন্য বুদ্ধির উপরে নির্ভর না করিয়া আত্মার আলোক, প্রেরণা ও উচ্চতর অনুভূতি উপলব্ধির উপরে নির্ভর করিয়াছে, কোনও পদক্ষেপ ঠিক হইতেছে কি না, বুদ্ধির বিচারের দ্বারা পরীক্ষা নিশ্চয় করিয়া লইয়াছে, বুদ্ধি প্রাণ ও আত্মার স্থান গ্রহণ না করিয়া তাহাদিগকে কেবল সাহায্য করিয়াছে;—সকল সময়ে প্রাণ ও আত্মাই সত্য ও নিখুঁতভাবে সৃষ্টি করিতে পারে। ভারতের অধ্যাত্মভাবাপন্ন মন জীবনকে আত্মার অভিব্যক্তি বলিয়াই ধারণা করিয়াছে; সমাজ সৃষ্টিকর্ত্তা ব্রহ্মার দেহ, জনগণ সমষ্টিগত ব্রহ্মার প্রাণ-শরীর, সমষ্টি-নারায়ণ, সেইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি ব্যক্তিগত ব্রহ্মা, স্বতন্ত্র জীব, ব্যষ্টি-নারায়ণ; রাজা ভগবানের জীবন্ত প্রতিনিধি এবং সমাজের অন্যান্য অংশ ও শ্রেণী সমষ্টিগত আত্মার বিভিন্ন স্বাভাবিক শক্তি, প্রকৃতয়ঃ। অতএব, স্বীকৃত রীতিনীতি, অনুষ্ঠান, আচার-ব্যবহার, সকল অংশসমেত সমাজ ও রাষ্ট্র-শরীরের গঠন, এ সবের আধিপত্য স্বীকার করিতে সকলেই যে বাধ্য