পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের রাষ্ট্র-ব্যবস্থার মূলনীতি ও স্বরূপ
৪৩

এই সকল প্রকারের ধর্ম্ম স্বধর্ম্মের (স্বভাব অনুসারে কর্ম্মই স্বধর্ম্ম) উপরে ক্রিয়া করিয়া শাস্ত্রবিধান সমূহ সৃষ্টি করে। প্রাচীন ধারণা এই ছিল যে, ব্যক্তিগতভাবে ও সমষ্টিগতভাবে মানুষের অবস্থা যখন সম্পূর্ণ অবিকৃত ও নির্দ্দোষ (ইহাই কাল্পনিক সত্য-যুগ বা স্বর্ণ-যুগ), তখন আর কোন রাজনীতিক শাসনতন্ত্রের, ষ্টেটের বা সমাজের কৃত্রিম অনুষ্ঠান প্রয়োজন হয় না। কারণ, তখন সকলে আপন আপন প্রবুদ্ধ আত্মা ভাগবত-অধিষ্ঠিত সত্তার সত্য অনুসারে স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করে এবং সেই জন্য আপনা হইতেই আভ্যন্তরীণ দিব্যধর্ম্মের অনুসরণ করে। অতএব আত্মনিয়ন্ত্রণশীল ব্যক্তি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণশীল সমাজ আপন আপন সত্তার যথার্থ ও স্বচ্ছন্দ ধর্ম্ম অনুসারে জীবন যাপন করিবে, ইহাই আদর্শ। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে মানুষের যে অবস্থা, তাহাতে তাহার প্রকৃতি ব্যক্তিগত ও সামাজিক ধর্ম্মের বিকৃতি ও বিচ্যুতির অধীন, অজ্ঞান ও ব্যভিচারী। এরূপ অবস্থায় সমাজের স্বাভাবিক জীবনের উপর ষ্টেট, রাজশক্তি, বা শাসনতন্ত্র চাপাইয়া দেওয়া প্রয়োজন; এই রাজশক্তি অযথাভাবে সমাজের জীবনে হস্তক্ষেপ করিবে না, সমাজ-জীবনকে প্রধানতঃ স্বাভাবিক নিয়ম ও রীতিনীতি অনুসারে স্বচ্ছন্দভাবে বিকশিত হইতে দিতে হইবে; রাজশক্তি শুধু দেখিবে, সমাজ