পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

ঠিক পথে চলিতেছে কি না, ধর্ম্ম সতেজ আছে কি না, পালিত হইতেছে কি না। ধর্ম্মের বিরুদ্ধাচরণকে শাস্তি দিবে, দমন করিবে, যথাসম্ভব অধর্ম্মাচরণ নিবারণ করিবে এবং এইভাবে সমাজকে আপনার পথেই ঠিকমত চলিতে সাহায্য করিবে। ধর্ম্ম যখন আরও অধিক বিকৃত অবস্থায় উপস্থিত হয়, তখন সমগ্র সমাজজীবনকে বাহ্য বা লিখিত বিধিনিষেধের শাস্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা প্রয়োজন হয়, শাস্ত্রকর্ত্তা, আইনকর্ত্তার প্রয়োজন হয়; কিন্তু আইন বা শাস্ত্র প্রণয়ন করা রাজা বা রাজশক্তির কার্য্য ছিল না, রাজশক্তি ছিল কেবল প্রয়োগকর্ত্তা (administrator); সমাজ ও ধর্ম্মসম্বন্ধীয় বিধিবিধান নির্দ্ধারণ করিতেন ঋষি এবং সে সবের রক্ষা ও ব্যাখ্যা করিতেন ব্রাহ্মণ। আবার ঐ বিধিবিধান (লিখিতই হউক বা অলিখিতই হউক) রাজশক্তি বা ব্যবস্থাপক কর্ত্তৃক সৃষ্ট বা উদ্ভাবিত হইবার জিনিষ ছিল না, উহা পূর্ব্ব হইতেই রহিয়াছে, কেবল উহার স্বরূপ বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করিয়া দেওয়া হইত অথবা সমাজের জীবন ও চেতনায় প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি হইতেই উহা কেমন স্বাভাবিকভাবে উঠিয়াছে, তাহা দেখাইয়া দেওয়া হইত। এইভাবে কৃত্রিমতা ও গতানুগতিকতা বৃদ্ধি পাইতে পাইতে অবশেষে এমন অধম অবস্থা আসিবেই, যখন সমাজ দ্বন্দ্ব, অনাচার ও