পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্রবিকাশের ধারা
৫৩

সম্প্রদায়গত স্বাধীনতা। প্রথম প্রথম সমস্যাটি খুবই সরল ছিল। কারণ, তখন কেবল দুই প্রকার কমিউন্যাল মূল অনুষ্ঠানের হিসাব লইতে হইত,—গ্রাম এবং কুল। প্রথমটির স্বাধীন স্বাভাবিক জীবন স্ব-নিয়ন্ত্রণশীল পল্লীসমাজের ভিত্তির উপরে স্থাপন করা হইয়াছিল, এবং তাহা এমনই পূর্ণতার সহিত ও মজবুতভাবে করা হইয়াছিল যে, সেটি কালের সমস্ত অত্যাচার এবং অন্যান্য তন্ত্রের আক্রমণ প্রতিরোধ করিতে সমর্থ হইয়া প্রায় আমাদের সমকাল পর্য্যন্ত বিদ্যমান ছিল। কেবল সে দিন তাহা ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রের নির্ম্মম ও প্রাণহীন যান্ত্রিকতার নিদারুণ চাপে পিষ্ট হইয়া লোপ পাইয়াছে। গ্রামের লোক ছিল প্রধানতঃ কৃষিজীবী, এবং সকলে মোটের উপর একটি সঙ্ঘে মিলিত হইয়া ছিল; সেই একই সঙ্ঘ ছিল ধার্ম্মিক, সামাজিক, সামরিক ও রাষ্ট্রনীতিক সঙ্ঘ; নিজেদের সমিতির ভিতর দিয়া তাহারা নিজেদের শাসনকার্য্য নির্ব্বাহ করিত, তাহাদের উপর নেতাস্বরূপ ছিলেন রাজা, এবং তখনও সামাজিক কর্ম্মের স্পষ্ট কোন ভাগাভাগি হয় নাই এবং কর্ম্ম অনুসারে শ্রেণীবিভাগও হয় নাই।

 কিন্তু এই যে প্রণালী, ইহা কেবল সরলতম কৃষিজীবন, এবং অত্যল্পপরিসর স্থানের মধ্যে আবদ্ধ ক্ষুদ্র জনসমষ্টি ভিন্ন আর কিছুরই পক্ষে উপযোগী নহে, এই কারণেই অধিকতর জটিল কম্যুন্যাল অনুষ্ঠানের বিকাশ