পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্রবিকাশের ধারা
৫৯

কতকগুলি ব্যক্তি ব্যতীত আর সকলের পক্ষে কার্য্যতঃ ব্যর্থ হইয়াছিল। তথাপি এখনও যে সব প্রমাণপত্র পাওয়া যায়, তাহাতে এমন দৃষ্টান্তের অভাব নাই যে, নারীগণ কেবলই যে রাণী ও শাসনকর্ত্রীরূপে, এমন কি, যুদ্ধক্ষেত্রেও (ভারতের ইতিহাসে এটি সাধারণ ঘটনা) খ্যাতি অর্জ্জন করিয়াছিল, শুধু তাহাই নহে, তাহারা রাজনীতিক সভাসমিতিতেও নির্ব্বাচিত প্রতিনিধিরূপে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিল।

 ভারতের সমগ্র রাষ্ট্রব্যবস্থাটির ভিত্তিতে ছিল সকল শ্রেণীরই সাধারণ জাতীয় জীবনে অন্তরঙ্গভাবে অংশগ্রহণ; প্রত্যেক শ্রেণী আপন আপন ক্ষেত্রে প্রাধান্য করিত, ধর্ম্ম ও বিদ্যার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণ, যুদ্ধ, রাজকার্য্য ও অন্যান্য রাজ্যের সহিত রাষ্ট্রনীতিক কার্য্যের ক্ষেত্রে ক্ষত্ত্রিয়, ধনোপার্জ্জন ও অর্থনীতিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৈশ্য, কিন্তু কেহই, এমন কি, শূদ্ররাও রাজনীতিক জীবনে নিজ নিজ অধিকার হইতে বঞ্চিত ছিল না। রাষ্ট্রনীতি, শাসন ও বিচারকার্য্যে সকলেরই কথা চলিত, সকলেরই স্থান ছিল, প্রভাব ছিল। ইহার ফল হইয়াছিল এই যে, অন্যান্য দেশে যেরূপ শ্রেণীবিশেষ দীর্ঘকাল ধরিয়া প্রবলভাবে অন্যান্য শ্রেণীর উপর একাধিপত্য করিয়াছে, ভারতের রাষ্ট্রনীতিক ব্যবস্থায় সেরূপ কোন এক বিশেষ শ্রেণীর একাধিপত্য, অন্ততঃ বেশী দিনের