পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

পর্য্যায়ে আসিয়া পড়িল, শীর্ষদেশে রহিল অল্পসংখ্যক ব্রাহ্মণের দল এবং মধ্যস্থলে কতকগুলি ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য ছড়াইয়া রহিল।

 পরিষদ এই ভাবে সমগ্র সমাজের প্রতিনিধি হইয়া রাষ্ট্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কার্য্যনির্ব্বাহক ও শাসন-সংস্থান ছিল; শাসনকার্য্য, অর্থনীতি, কূটনীতি এই সকল বিষয়ে অপেক্ষাকৃত প্রয়োজনীয় ব্যাপারে, সমাজের সমুদয় স্বার্থব্যাপারে, রাজা যে-কার্য্য বা আদেশ প্রচার করিতেন, সে জন্য তাঁহাকে পরিষদের সম্মতি ও সহযোগিতা গ্রহণ করিতে হইত। রাজা, মন্ত্রিগণ ও পরিষদ ইঁহারাই বিভিন্ন কার্য্যনির্বাহক বোর্ডের সাহায্যে ষ্টেটের কার্য্যের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ করিতেন। কালক্রমে রাজার শক্তি যে বাড়িয়া উঠে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই, এবং সময়ে সময়ে তাঁহার নিজের স্বাধীন ইচ্ছা প্রেরণা অনুসারে কাজ করিবার খুবই প্রলোভন হইত, কিন্তু তাহা হইলেও, যত দিন ঐ রাষ্ট্রব্যবস্থা সতেজ ছিল, তত দিন রাজা পরিষদ ও মন্ত্রিগণের মত ও ইচ্ছাকে অমান্য বা অগ্রাহ্য করিয়া পরিত্রাণ পাইতেন না। এমন কি, মহাসম্রাট অশোকের ন্যায় শক্তিশালী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাজাকেও পরিষদের সহিত দ্বন্দ্বে পরাজিত হইতে হইয়াছিল এবং কার্য্যতঃ তিনি তাঁহার ক্ষমতা ত্যাগ