পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

উদারতা ও মর্য্যাদাজ্ঞান অনেক পরিমাণে রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিল।

 ভারতীয় কমুন্যাল ব্যবস্থায় আর একটি অধিকতর স্থিতিশক্তিসম্পন্ন জিনিষ ছিল, সেটি প্রাচীন চাতুর্ব্বর্ণ্যের কাঠামোতে গড়িয়া উঠিয়াছিল, এমন কি শেষ পর্য্যন্ত চাতুর্ব্বর্ণ্যেরই স্থান অধিকার করিয়া অসাধারণ জীবনীশক্তি ও প্রভাবশীল প্রাধান্য লাভ করিয়াছিল। সেইটি হইতেছে ইতিহাসপ্রসিদ্ধ জাতিভেদ প্রথা। আজ সেইটির ম্রিয়মাণ অবস্থা হইলেও, সেটি এখনও নড়িতে চাহিতেছে না। নানা শক্তির চাপে প্রাচীন চারি বর্ণের মধ্যে নানা বিভাগ উৎপন্ন হয়, আদিতে সেই সব বিভাগ হইতেই জাতিভেদের উদ্ভব। ব্রাহ্মণগণের মধ্যে যে নানা বিভাগের উদ্ভব হয়, তাহার প্রধান কারণ ছিল ধর্ম্ম, সমাজ ও আচার-অনুষ্ঠান-সম্বন্ধীয় বিভিন্ন রীতি-নীতি, কিন্তু স্থানভেদ ও দেশভেদের ফলেও নানা শ্রেণীভেদ হইয়াছিল। ক্ষত্ত্রিয়রা অধিকাংশ এক শ্রেণীই ছিল, যদিও তাহারা বিভিন্ন কুলে বিভক্ত ছিল। অন্যপক্ষে বৈশ্য ও শূদ্রগণ, অর্থনীতিক কর্ম্মবিভাগের প্রয়োজনবশে বংশানুক্রমনীতি অনুসারে অসংখ্য জাতিতে বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছিল। ভারতে ক্রমশঃ বেশী বেশী কড়াকড়ির সহিত বংশানুক্রমনীতি অনুসৃত হইয়াছিল, নতুবা এইরূপ স্থায়িভাবে অর্থনীতিক কর্ম্ম-