পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা

 কিন্তু, ভারতের নগরসঙ্ঘগুলিও কম স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসনশীল অনুষ্ঠান ছিল বলিয়া মনে হয় না, সেগুলি নিজেদের সভা ও সমিতির দ্বারা শাসিত হইত, তাহাদের নির্ব্বাচনপ্রথা ছিল, ভোটের ব্যবহার ছিল। নিজেদের স্বাধিকারে তাহারা নিজেদের ব্যাপার পরিচালনা করিত এবং গ্রামগুলির ন্যায়ই রাজ্যের সাধারণ সমিতি জানপদে প্রতিনিধি প্রেরণ করিত। নাগরিক শাসনপ্রণালীর অন্তর্গত ছিল সে সমুদয় কর্ম্ম, যাহা নগরবাসীর আর্থিক বা অন্যান্য কল্যাণের অনুকূল, যথা, শান্তিরক্ষা, বিচার, রাস্তাঘাট আদি নির্ম্মাণ ও মেরামত, ধর্ম্মস্থান প্রভৃতি সংরক্ষণ, রেজিষ্ট্রেশন, মিউনিসিপ্যাল টেক্স নির্দ্ধারণ এবং ব্যবসা, শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক ব্যাপার সকলের ব্যবস্থা। যদি গ্রামসঙ্ঘকে ক্ষুদ্র রিপাবলিক বলিয়া বর্ণনা করা চলে, তাহা হইলে নগরসঙ্ঘগুলিকেও সেইরকম বৃহত্তর নাগরিক রিপাবলিক বলিয়া বর্ণনা করা যাইতে করা যাইতে পারে। ইহা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য যে, নৈগম ও পৌর সমিতিগুলি নিজেদের মুদ্রা প্রস্তুত করিতে পারিত, অন্যথা এ ক্ষমতা কেবল রাজা বা রাজশক্তির হস্তেই ছিল।

 আর একপ্রকার সমষ্টি-জীবনের উল্লেখ করা আবশ্যক। তাহাদের কোনরূপ রাজনীতিক অস্তিত্ব ছিল না, তথাপি সেগুলি আপন আপনভাবে স্বায়ত্তশাসনমূলক অনুষ্ঠান