পাতা:ভারতের সংবিধান.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১১
ভারতের সংবিধান
১১

ভাগ ৩—মৌলিক অধিকারসমূহ-অনুচ্ছেদ ২২-২৫

(গ) (৪) প্রকরণের (ক) উপ-প্রকরণ অনুযায়ী অনুসন্ধানে মন্ত্রণাপর্ষদ | কর্তৃক অনুসরণীয় প্রক্রিয়া।

শােষণ হইতে ত্রাণের অধিকার

২৩। (১) মনুষ্য ক্রয়-বিক্রয় ও বেগার খাটান এবং অনুরুপ অন্য কোন মনষ ক্রয়-বিক্রয় ও প্রকারে বলপূর্বক শ্রম করাইয়া লওয়া প্রতিষিদ্ধ হইল এবং এই বিধানের যে- বলপূর্বক শ্রম করাইয়া কোন লঙ্ঘন বিধি অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ হইবে। | লওয়ার প্রতিযেধ। (২) এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাজ্য কর্তৃক সার্বজনিক উদ্দেশ্যে । বাধ্যতামূলক কর্ম আরােপণে অন্তরায় হইবে না এবং ঐরপ কর্ম আরােপ . করিতে কাহারও প্রতি কেবল ধর্ম, প্রজাতি, জাতি বা শ্রেণীর হেতুতে, অথবা | তন্মধ্যে যেকোন একটিরও হেতুতে, রাজ্য কোন বিভেদ করিবেন না। , ২৪। চৌদ্দ বৎসরের কম বয়সের কোন শিশুকে কোন কারখানায় বা কারখানা ইত্যাদিতে খুনিতে কর্মে নিযুক্ত করা যাইবে না অথবা অন্য কোন সংকটজনক কমে ব্যাপত শিশ নিয়ােগের করা যাইবে না। প্রতিষেধ। প্রচার।


ধর্মস্বাধীনতার অধিকার

২৫। (১) জনশঙ্খলা, সুনীতি ও স্বাস্থ্য এবং এই ভাগের জন্য বিবেকের স্বাধীনতা। বিধানাবলীর অধীনে, সকল ব্যক্তির বিবেকের স্বাধীনতার এবং স্বাধীনভাবে এবং স্বাধীনভাবে ধর্ম ধর্ম স্বীকার, আচরণ ও প্রচার করিবার অধিকার সমভাবে থাকিবে। স্বীকার, আচরণ ও | (২) এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই এরপ কোন বিদ্যমান বিধির ক্রিয়া প্রভাবিত করিবে না অথবা রাজ্য কর্তৃক এরপ কোন বিধি প্রণয়নে অন্তরায় হইবে না, যাহা-- (ক) ধর্মাচরণের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন অর্থনীতিক, বৈত্তিক, রাজনীতিক বা অন্য প্রকার ধর্মনিরপেক্ষ কর্মপ্রচেষ্টা প্রনিয়ন্ত্রিত বা সঙ্কুচিত করে; . (খ) সমাজের কল্যাণ ও সংস্কারের, অথবা সাবজনিক প্রকৃতির হিন্দ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ সব শ্রেণীর ও সব বিভাগের হিন্দগণের জন্য উন্মুক্ত করিবার, ব্যবস্থা করে। ব্যাখ্যা ১াকৃপাণ ধারণ ও বন শিখ ধর্ম স্বীকারের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া - গণ্য হইবে।

ব্যাখ্যা ২-২) প্রকরণের (খ) উপ-প্রকরণে হিন্দগণের উল্লেখে শিখ, জৈন বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিগণের উল্লেখ অন্তর্ভুক্ত বলিয়া অর্থ করিতে হইবে এবং হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উল্লেখের অর্থ তদনুসারে করিতে হইবে।