ভারতে ইংরাজ । وان ج রাজভক্তি । আমরা হিন্দুসস্তান-হিন্দু। হিন্দুর জীবন ধৰ্ম্মায়ুগত ৷ ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের উপদেশানুসারে আমরা সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিয়া থাকি, আত্মীয়স্বজনের সহিত আত্মীয়তা করি, গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি করি, ভূত্যাদি ও অস্তুগত জনের প্রতি সদ্ব্যবহার করি । সংক্ষেপে এষ্ট বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, আমাদের ক্রিয়াকলাপ কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সকলই হিন্দুশাস্ত্রানুসারী। হিন্দুশাস্ত্রের নিদেশমুসারে আমরা বাজভক্তি-পরায়ণ । তামৰ পুরুষানুক্রমে বাজশক্তির সম্মান করিয়া আসিতেছি বলিয়া, আমাদের বাজভক্তির সুখ্যাতি আছে। আমরা প্লাজাকে দেবাংশ-সভূত দেবতা বলিয়া জানি। শাস্ত্রকারেব বলেন, “জগৎ বিশ্বজ্বল হইলে সকলেই ভয়ে আকুল হয, এজন্ত চবচিব রক্ষার্থ পরমেশ্বর রাজাকে স্বষ্টি করিয়াছেন। ইন্দ্র, চন্দ্র, ধায়ু, বরুণ, ধম, অগ্নি, স্বৰ্য্য, কুবেব এই অষ্ট দিক্পালের সারভূত অংশ গ্রহণ করিয়া ঈশ্বর রাজাকে স্থষ্টি কবিয়াছেন। ইঙ্গাদি শ্রেষ্ঠ দেবগণের অংশ হইতে রাজা নিৰ্ম্মিত হইয়াছেন বলিয়া, তেজের আতিশয্য হেতু, তিনি সকল প্রাণীকেই অতিক্রম কবিয়া থাকেন। পৃথিবীতে কোন লোকই রাজাকে অভিমুখে অবলোকন করিতে সক্ষম নহে। প্রভাবে রাজা অগ্নি, বায়ু, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, যম, কুবেব বরুণ এবং মহেন্দ্রেব তুল্য । বাজ বালক হইলেও সামান্ত ' মনুষ্য বোধে তাহাকে অবজ্ঞা কৰা উচিত নচে । অসাবধান হইয়া যে ব্যক্তি অগ্নির নিকটস্থ হয়, অগ্নি কেবল তাহাকেই দগ্ধ কবেন , পবন্তু রাজার কোপাগ্নিতে পতিত হইলে, সপবিবার, পশু ও দ্রব্যসমষ্টির সহিত নষ্ট হইতে হয় । প্রয়োজনীয় কাৰ্য্যকলাপ স্বকীয শক্তি এবং দেশকালের পর্য্যালোচনা করিয়া রাজু রাজধৰ্ম্মানুরোধে সকল প্রকাব রূপই ধারণ কবিয়া থাকেন । ধিনি প্রসন্ন হইয়া থাকিলে মহতী শ্ৰীলাভ হয়, যাহার পবাক্রমপ্রভাবে বিজয় লাভ হয়, যাহার ক্ৰোধ মৃত্যুর বসতিস্থল, নিশ্চিত তিনিই সৰ্ব্বতেজোময়। যে ব্যক্তি মোছ বশতঃ তাহাকে দ্বেষ করিয়া থাকে, সে নিশ্চিতই বিনাশ প্রাপ্ত হয় । তাঁহাকে বিনাশ করিবার জন্ত রাজা সত্বৰ মনোযোগী হয়েন । অতএব রাজা হৃষ্টদমন ও শিষ্টপা, ধৰ্ম্মনিয়ন সংস্থাপন করিয়া থাকেন, তাহ উল্লঙ্ঘন করা উlচ ও ৮ : সমতভেজা রাজগণ অগ্নি, ঈশ, চঞ্জ, ধম ও বরুণদেবের মূৰ্ত্তি স্বরূপ । এজন্ত রাজগণেব প্রতি হিংস। আক্রোশ বা অবজ্ঞাবাকা ব্যবহাব করা কাহারও কর্তব্য কমনুসংহিতা ৭ম অধ্যায় ত-৯২ শ্লোব =
