পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইংরাজ শাসন ぐ。 প্ৰদান করা হইত। কবে কিভাবে সমাজের মধ্যে এই প্ৰথা বিশেষভাবে প্ৰচলিত হইতে আরম্ভ করিয়াছিল, তাহার ইতিহাস সংগ্ৰহ করা দুরূহ। শাস্ত্রানুসারে সতী পতির মৃত্যুর পরে চিরজীবন ব্ৰহ্মচারিণী থাকিতে পারেন অথবা ইচ্ছা হইলে মৃতপতির সহগামিনী হইতে পারেন। স্বামীর সহিত সহমরণ স্ত্রীর সম্পর্ণ ইচ্ছাধীন । তাহার ইচ্ছা না হইলে তঁাহাকে সহমরণ যাইতে হইবে, শাস্ত্রের কুত্ৰাপি এমন বিধি নাই। কিন্তু কালক্রমে এই প্ৰথা এমন ভীষণ মূৰ্ত্তি পরিগ্ৰহ করিয়াছিল যে, বিধবাদিগকে বলপূর্বক নিতান্ত নৃশংসভাবে স্বামীর মৃতদেহের সহিত সৎকার করা হইত। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে এই লোমহর্ষণ ব্যাপার। এতদূর বৃদ্ধি পাইয়াছিল ষে, তখন আর গবর্ণমেণ্ট এ বিষয়ে উদাসীন থাকিতে পাবিলেন না । ১৮০৫খষ্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলি যখন ভারতের গবর্ণর জেনারাল তখন তিনি এই বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগ প্ৰদান করেন । তিনি আপীল আদালতের জাজদিগের নিকট জানিতে চান হিন্দুধৰ্ম্মের সহিত এই সতীদাহ প্রথার কি সম্পর্ক ; এই প্রথার উচ্ছেদ করিলে মূল হিন্দুধৰ্ম্ম কোন প্রকারে ক্ষুন্ন হইবে কিনা । জজরা এই সম্পর্কে স্থির সিদ্ধান্তে । উপনীত হইবার জন্য হিন্দুশাস্ত্রে অভিজ্ঞ দেশীয় পণ্ডিতগণের অভিমত সংগ্ৰহ করেন। পণ্ডিতগণ বলেন, কতকগুলি বিশেষ বিশেষ অবস্থা ভিন্ন প্ৰত্যেক হিন্দুনারী স্বেচ্ছায় সতী হইতে