পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইংরাজ শাসন 8) সরকারের এ ব্যবস্থা ব্যর্থ হইল। এই রাজাদেশে বিশেষ কোন কাজ হয় নাই। অতঃপর ১৮২৩খষ্টাব্দে লন্ড আমহাষ্ট্য সহমরণকে আইনবিরুদ্ধ বলিয়া ঘোষণা করেন । এই প্রসঙ্গে তিনি এ কথাও জানাইয়া দেন যে, যে নারী মৃত স্বামীর অনুগমন করিতে একান্ত ইচ্ছক, তাহাকে স্বয়ং ম্যাজিষ্ট্রেটকে সে অভিপ্ৰায় জানাইতে হইবে। কিন্তু যে পরিবারে এই সহমরণ ঘটিবে সে পরিবারের কোন লোক কখনও সরকারী চাকুরী প্ৰাপ্ত হইবে না। অধিকন্তু সেই সতীর ও তাহার স্বামীর সমস্ত সম্পত্তি সরকারে বাজেয়াপ্ত করা হইবে । লড (আমহাষ্টের এ ব্যবস্থাও আশানুরূপ ফলপ্ৰদ হইল না। অতঃপর ১৮২৯খষ্টাব্দে ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে সপরিষদ গবর্ণর জেনারেল লডর্স উইলিয়াম বেণ্টিঙ্ক এক রাজবিধি (2a, 3 (SR (Regulation XVII of I 829) ইহাতে স্পষ্টাক্ষরে বলা হয় যে, জীবিত কোন হিন্দু বিধবাকে মৃত স্বামীর সহিত একসঙ্গে দগ্ধ করিলে কিংবা দগ্ধ করিতে চেষ্টা করিলে তাহা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ ও ফৌজদারী আদালতে দণ্ডনীয় হইবে। সরকারের এই আইন প্ৰবৰ্ত্তিত হইবার পর হইতেই এই দেশে সতীদাহ প্ৰথা রহিত হইতে আরম্ভ হয় এবং অল্পদিনের মধ্যেই ইহা সম্পূর্ণ বন্ধ হইয়া যায় । পূর্বকালে চড়ক পূজায় এক প্রকার বীভৎস কাণ্ড সংঘটিত