পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ইংরাজ শাসন NO অতঃপর স্বস্যার জন গ্ৰাণ্ট এই বিষয় অবহিত হন। তিনি প্ৰাদেশিক কমিশনারগণের রিপোর্ট অনুসারে এই মৰ্ম্মে এক আদেশ প্রচার করিলেন যে, প্ৰত্যেক শাসনকর্তৃপক্ষ যেন সেই স্থানের জমিদারগণের সাহায্যে ও আনুকূল্যে এই প্রথার উচ্ছেদ সাধন করিতে চেষ্টা করেন। সকলকে যেন এই বীভৎস কাণ্ডের অনিষ্টকারিত বিশেষভাবে বুঝাইয়া দেওয়া হয় । তাহা হইলেই তাহারা স্বেচ্ছায় এই প্ৰথা পরিহার করিবে। কোন কোন স্থলে পুলিশকে এই সম্পর্কে যথোচিত ব্যবস্থা করিতে বলা হইল। অতঃপর ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে বঙ্গের ছোটলাট স্বস্যার সিসিল বীডন বঙ্গদেশের সকল ম্যাজিষ্ট্রেটের উপর এই মৰ্ম্মে এক আদেশ জারী করেন যে, তাহারা যেন সর্বপ্রযত্নে ইহা দমন করিতে চেষ্টা করেন । যাহারা তঁহাদের আজ্ঞার প্রতিকুলাচরণ করিবে তাহাদিগকে যেন রাজদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এই ব্যবস্থার পর হইতেই এই প্ৰথা ক্রমশঃ বিলুপ্ত হইতেছে। সতীদাহ নিবারণ ও বাণফোড়া প্ৰথা বন্ধ এই দুইটী। সামাজিক সংস্কার ব্রিটীশ রাজত্বের বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা । এই দুটী ব্যাপারে শাসনকর্তৃপক্ষগণ যে প্ৰকার ধীরতা সহকারে আবশ্যক ব্যবস্থাদি করিয়াছেন তাহাতে ইহা বিশেষভাবে প্ৰতিপন্ন হইয়াছে যে, ব্রিটিশ গবৰ্ণমেণ্ট লোকের সামাজিক কিংবা ধৰ্ম্মগত রীতি নীতি আচার পদ্ধতি সম্পর্কে সহসা হস্তক্ষেপ করিতে চান না। কিন্তু যেখানে লোক