গঠনের মুখে নূতন ভারত
আত্মার এ দৈন্য কেন?
হিন্দু ভারতের যে প্রতিভা, যে সৃষ্টির মনীষা ও প্রাণধারা অর্দ্ধেক পৃথিবী জুড়ে এক দিন উপনিবেশ স্থাপন করেছিল বহু শতাব্দির পরাধীনতার চাপে সে মেধা ও প্রাণশক্তি ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হয়ে এসেছিল। শুধু পরাধীনতাই এর কারণ নয়। আমাদের এই অনুপম কৃষ্টির যে ভারত তার আত্মার জীবনী-শক্তি স্বতঃই চলেছিল মৃত্যুমুখে—অবসাদ ও শুপ্তির পথে, অবশিষ্ট যা’ পড়েছিল তা’ হচ্ছে তার নিতান্তই প্রাণহীন জড় দেহ মাত্র। ব্যক্তি বল, জাতি বল, দেশ বল তার আত্মা থেকেই আসে যত সুষমা, শক্তি, সিসৃক্ষু ভাবধারা। আত্মা যার বিকাশের ধর্ম্ম ত্যাগ করে শ্রান্তি বশে চলেছে শক্তির অস্তাচলের দিকে তার জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে আসে জড়তা, কদর্য্যতা, নিস্পৃহা। জীবন ও মৃত্যু চিরদিনই চলে এমনই তরঙ্গে তরঙ্গে উঁচু নীচু বৃত্ত এঁকে এঁকে—সৃষ্টির নিয়মই যে এই। ভারতের এসেছিল সুষুপ্তির কাল, বিশ্রামের সময়;—তার যত কিছু পরাজয়, পরাধীনতা, দৈন্য ও বন্ধন, সে কেবল তারই অনিবার্য্য লক্ষণ।
মুসলমান ভারতও তার প্রেরণা ও কৃষ্টির মূল উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহির্জগতের স্পর্শ হারিয়ে ক্ষয়ের পথ ধরেছিল। অতিভোগ ও যথেচ্ছাচারের অবসাদ ক্রমশঃ তার এই অবনতির গতি দ্রুত করে আনছিল। তাই প্রাচ্যে যখন উদিত হ’লো ব্রিটিশ
৯১