বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত কোন্‌ পথে? – বারীন্দ্রকুমার ঘোষ (১৯৩৬).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভারত কোন্ পথে?

বাদ দিয়ে শুধু ধ্বংস ভূতের নৃত্য, শক্তির সেখানে ছন্দহারা ডাকিনীর রূপে প্রকাশ। পুণ্য ও সদাচারের জন্য লুব্ধ নীতিধর্ম্ম সত্য নয়, কল্যাণের আর অকল্যাণের দৈত্য সমান কালো, সমান কুৎসিৎ।

 প্রকৃত ভারত কোথায়?

 বাংলার ও ভারতের তরুণদের সম্মুখে রয়েছে এক মহান অসমাপ্ত ব্রত—এই বিশাল জাতি-গোষ্ঠীর জাতি-পরিবারের সর্ব্বাঙ্গীন উন্নতির ব্রত। এই অসমাপ্ত ব্রতের তাগিদ, এই ভাবী উন্নতির প্রেরণা তোমাকে আমাকে পাগল করেছে; তাই আজ আমি স্বরাজী, তুমি বিপ্লববাদী, সে অসহযোগী আর একজন কম্যুনিষ্ট। কিন্তু যে দেশকে আমরা পূজা করি, যে বাংলা বা ভারতের কল্যাণের আমরা যোদ্ধা, কোথায় সে সত্যকার ভারত? আমাদের শিক্ষিত বাবুদের সভায়, আমাদের ইংরাজি-নবীশের কংগ্রেস মণ্ডপে, আমাদের রাজনীতিক তামাসার শোভাযাত্রায় কি সে ভারতকে কখন দেখেছ, খুঁজে পেয়েছ? সত্যকার সে ভারত নিদ্রিত মহানাগের মত পড়ে আছে—জীবনের গতি হারিয়ে, অসাড় হয়ে—এই মহাদেশের বন নদী পর্ব্বত জুড়ে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ গ্রামের জীর্ণ পর্ণকুটীরে কুটীরে। তাদের কাছে গিয়ে তাদের পার্শ্বে একবার দাঁড়িয়ে অনুভব করে দেখলে দেখতে পাই, আমাদের সভ্যতা ও তাদের শত শতাব্দি সঞ্চিত মুর্খতা ও অজ্ঞানে কতখানি তফাৎ, আমাদের বাবুয়ানার প্রাচুর্য্যে আর তাদের বীভৎস্ব নগ্নতায় কি পার্থক্য! সমাজের আঁস্তাকুড়ের আবর্জ্জনা তারা আমাদের শিক্ষিত ভদ্রলোকের ভাষা বোঝে না, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার স্বাদ জানে না। ভারতের শতকরা সেই নব্বই জনই