যুগ-দেবতার সঙ্কেত
স্বার্থ ও হিংসার কটাহে টগবগ করে ফুটছে জীবনের তৈল, আর পাশে বসে নেতারা আওড়াচ্ছেন অহিংসার মন্ত্র, দেশপ্রীতির নিস্ফল পুণ্য শ্লোক। মনে পুষবে পাপ আর কাজে থাকবে শুদ্ধ, এ রকম ব্যাপার মানব প্রকৃতিতে সম্ভব নয়। যে কোন মহাব্রতের নামে উচ্চ আদর্শের অছিলার মানুষের অন্তরের আগ্নেয়গিরির মুখ যদি একবার খোল তা’ হ’লে আর কোন মন্ত্রেই সে প্রজ্জ্বলিত উৎক্ষিপ্ত জ্বালামুখী থামবে না। হিংসার আছে দু’দিকে ধার, সে আত্মপর উভয়কেই সমানে কাটে।
“তোমার পিতা জল ঘোলা করেছিল বলে আজ আমি তোমার রক্ত খাব”—এ যুক্তি বনের বাঘের যুক্তি, মানুষের নয়। কবে কোন্ অতীত যুগে আরও দশটা দেশলুণ্ঠকের সঙ্গে বনিক বেশে কয়েকজন ইংরাজ এসে অরাজকতার অবসরে পতিত এদেশ জয় করেছিল বলে সমগ্র ইংরাজ জাতিকে ঘৃণা করা বা শাস্তি দেওয়া সেই নেকড়ে বাঘেরই যুক্তি, অসভ্য আফ্রিদির বংশপরম্পরাগত রক্তের নেশা blood feudএরই সগোত্র। বয়কট শাসকের ওপর চাপ দেবার অস্ত্র হতে পারে, কিন্তু বয়কট যে দু’ দলকেই উৎসন্ন করে ক্ষতিগ্রস্থ করে, তা’আমরা বার বার করে এবং ঠেকে বুঝেছি। রাগ বা প্রতিহিংসা প্রতিপক্ষের মাঝে সেই বৃত্তিকেই জাগায়, মুখের অন্ন নিয়ে হানাহানি কাড়াকাড়ি দুই দেশের নিরন্নকেই আঘাত করে, শোষণ ও প্রতিহিংসা exploitation and retaliation একই জঘন্য বৃত্তির দুই দিক মাত্র।
যুগ-দেবতার সঙ্কেত
ইংরাজ এদেশে এত দিন যে ভাবে অবাধে বিলাস ও শক্তি উপভোগ করেছে আজ সচেতন ভারতে সে যথেচ্ছ লুণ্ঠন সম্ভব হবে না একথা সে জানে। আজ ইংরাজ বুঝেছে তারই স্পর্শে জাগ্রত এ জাতীয়তাকে ধ্বংস
২১