বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারত কোন্‌ পথে? – বারীন্দ্রকুমার ঘোষ (১৯৩৬).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সন্ত্রাশবাদ জাতীয় আন্দোলন আখ্যার যোগ্য নয়

১৯৩৩
হত আহত
রাজকর্ম্মচারী ...
বাহিরের লোক ...
সন্ত্রাশবাদী ...

 ঝোপে ঝাড়ে গা ঢাকা দিয়ে এই ভাবে তাড়িত জীবন যাপন করে দেশের কাজ তো হয়ই না, এ রকম বিক্ষিপ্ত এক আধটা চেষ্টায় দেশের তেমন কোন রাজনীতিক শিক্ষা হওয়া বা জনসাধারণের মাঝে শক্তির প্রেরণা আসাও সম্ভব নয়, যেমন দেশব্যাপী কোন মুক্ত বৈধ আন্দোলনে হয়। এ হচ্ছে সাধারণ নিরক্ষর দেশবাসীর চোখে বাবুদের ব্যাপার, শিক্ষিত সমাজেরও মাত্র মুষ্টিমেয় একাংশের আন্দোলন। স্বদেশী এবং বিদেশী উভয়েরই পীড়নে ও শোষণে উদ্বাস্তু জনসাধারণের সঙ্গে এই সন্ত্রাশবাদের কোন নাড়ীর যোগ নাই। এত বড় বিপুল ভারতের এত জাতি এত বর্ণ এত ধর্ম্ম এত স্পৃশ্যাস্পৃশ্যের ভেদের মাঝে কয়েক জন পুলিশ-তাড়িত পলাতক কর্ম্মী এ আন্দোলনকে কখনই দেশব্যাপী আন্দোলনে দাঁড় করাতে পারবে না। অধিকন্তু আজ কাল আমাদের দেশের বহু তরুণ ও যুবকেরা পাশ্চাত্যের আমদানী করা আরও নূতন নূতন আদর্শে মেতে উঠছেন, যথা, সমাজ-সাম্যবাদ, কম্যুনিজম্ বা গণতন্ত্র। আমি এঁদের অনেকের সঙ্গে আলাপ করে দেখেছি, এই সোসালিষ্ট ও কম্যুনিষ্টরা সন্ত্রাশবাদীদের অবজ্ঞা ও ঘৃণার চোখে দেখে থাকেন, কোন বিশেষ লক্ষ্য বা পথ যাদের নাই এমন একদল ভ্রান্ত বুর্জোয়া বলেই তাদের মনে করেন। তাঁরা বলেন এই সন্ত্রাশবাদীরা দেশের শাসনচক্র হাতে পেলেই বর্ত্তমান ধনিকতন্ত্রকেই জাতীয়তার নামে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করবেন,

৫৫