সোভিয়েটতন্দ্র কি বিশ্বব্যাপী গণ-আন্দোলন?
ভারতের মনীষা ও ভাবধারার অনুকুল হচ্ছে মৈত্রী ও করুণা, লুণ্ঠন ও হিংসা বা প্রতিহিংসা নয়।
এই নূতন মন্ত্রের চাই ঋত্বিক, হোতা ও দিব্য সেনানীর দল। এই অপূর্ব্ব গঠন-সেনার সৃষ্টি কর, এ যজ্ঞ উদযাপনে জীবন পণ কর, দেখবে ভারত রূপান্তরিত হয়ে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে গোটা মানব পরিবার যাবে সেই অমল ধবল জ্যোতিতে রঙে জ্যোতিস্মান হয়ে। মস্কোর রক্তরাঙা বিপ্লবের ও বল প্রয়োগের নীতি, সেই উৎপীড়নের ও চাপের নীতি ভারতকে বা জগৎকে রক্ষা করতে পারবে না, তা’ শুধু দেবে মানুষের মনকে দাবিয়ে বিকৃত ও জিঘাংসু করে; তার ফলে সারা জগৎ জুড়ে জাগবে হিটলার ও মুসোলিনীর প্রবর্ত্তিত ফ্যাসিজমের মত সমান জিঘাংসু প্রতিক্রিয়া। যে মন ভাবতে পারে না হিংসা বা উৎপীড়ন বিনা কল্যাণ সাধনা, সে মনের কোথায় একটা twist বা বিকৃতি এসে গেছে। যুদ্ধ ও রক্তপাতই যার কাছে হয়ে আছে মুক্তির অপরিহার্য্য উপকরণ, তার মানবতাকে করেছে পশুত্বই গ্রাস। এ পাপ বীজ একবার বপন করলে নূতন সদৃশ পাপেরই করে সৃষ্টি, এ আগ্নেয়গিরির চুড়ায় প্রেমের ঘর বাঁধা বাতুলতা বই আর কিছু নয়।
ভারতবাসী ও ইংরাজদের মধ্যে যাঁরা চিন্তাশীল ও দূরদর্শী তাঁদের দৃষ্টি আমি তাই বার বার এই দিকে আকর্ষণ করেছি; এই সোজা সত্যটা তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করেছি, যে, মানুষের বৈধ রাজনীতিতে যদি একবার হিংসার বাঁকা অস্ত্র—যথা হত্যা, লুণ্ঠন ও দাঙ্গার প্রবর্তন করা যায়, তা’ হ’লে এ গুণ্ডামী স্বরাজেও থামবে না; মানুষের বিরোধের বৈধ সমাধানের সকল পথ ক্রমশঃ কণ্টকিত ও রুদ্ধ হয়ে আসবে। কারণ হিংসার আছে প্রতিহিংসা, নিষ্ঠুরতা যে আক্রান্তের মাঝে জাগায় নিদারুণ ক্রোধ। কারণ পাপ বা অকল্যাণ আগুনের মত, সংক্রামক,
৮৫