ভারত কোন্ পথে?
ব্যাধির মত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা যারা ভারতে সকল জাতি ও বর্ণের সুখের রাজ্য গড়তে চাই, তারা এ পথে চললে শীঘ্রই পড়বো একটা হানাহানির মাঝ খানে, ক্ষিপ্ত যুদ্ধরত মানুষের গুলির মুখে। এ দক্ষযজ্ঞ একবার আরম্ভ করলে থামান কঠিন হবে, কারণ এর গুপ্তচক্রীরা চির দিনই থাকে সংগোপনে, চোখের অন্তরালে। মানুষের মাঝে যে ধ্বংস-পাগল ক্ষুদ্র মর্কট আছে, সে ভালবাসে স্বর্ণলঙ্কা দাহ করতে, মরবার বেলায় মরে নিরীহ শান্তি প্রয়াসীর দল। সব কিছু ভেঙে, উজাড় করে, সবাইকে উৎসন্নে দিয়ে, মানুষের অস্থি কঙ্কালের পাহাড় জমিয়েই সেই মর্কটের আনন্দ। এই দক্ষযজ্ঞের দানা ঘুরে ফিরে জগতে আসে; অসভ্য যুগে সে এসেছিল ধনুর্বাণ হাতে ব্যাধের বেশে, সভ্য যুগে সে এসেছে মানবকল্যাণের ঠ্যাঙাড়ে সেজে। নারীর সতীত্বের নামে অন্তঃপুরের পিঁজরা ও সহমরণের চিতা এক দিন এরাই সাজিয়েছিল, এক অনন্ত সম শান্ত ভগবানের নামে কাফের ও ম্লেচ্ছ বধ করে সহীদ হতে এবং সুলভ স্বর্গলাভ করতে এই মর্কটই এক দিন মানুষকে শিখিয়েছিল। জগতের শান্তি ও কৃষ্টি অক্ষুণ্ণ রাখতে যদি কখনও কাহাকেও দমন ও শাসন করতে হয় তো সে মানুষের অন্তরের এই ধ্বংসপাগল কপিরাজকেই।
দেশের নেতৃস্থানীয় মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহানুভূতি পেয়েই দেশকর্ম্মীদের অন্তরে এই ধ্বংসের দৈত্য বেঁচে বর্ত্তে থাকে। মিষ্টার এইচ কে হেল্স্ অহিংসার ঋষি মহাত্মা গান্ধীকে অনুরোধ করেছিলেন সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র মেদিনীপুরে যেতে, তাঁর প্রভাব সেখানে বিস্তার করে এই হিংসার বীজ উন্মূলিত করতে। মহাত্মাজী তদুত্তরে বলেছিলেন, গত চল্লিশ বছর ধরে তাঁর অহিংস মন্ত্রে ব্যক্তিগত অচলা নিষ্ঠাই যথেষ্ট প্রমাণ, তিনি আর কোন প্রত্যক্ষ
৮৬