সোভিয়েটতন্দ্র কি বিশ্বব্যাপী গণ-আন্দোল?
প্রমাণ দিতে প্রস্তুত নন। মেদিনীপুরে তিনি যেতে নারাজ, কারণ সন্ত্রাসবাদীদের উপর তাঁর কোন প্রভাব নাই! মহাত্মাজীর একথার আমি কোন অর্থ খুঁজে পাই না। সে কেমন অহিংস সত্যাগ্রহী যে বাধা পেয়ে ও মানুষের গোঁয়ার্ত্তামী দেখে নিজের ব্রত উদ্যাপনে পিছিয়ে যায়? এই অহিংস সংগ্রাম যখন বিদেশী রাজশক্তির বিরুদ্ধে প্রযুক্ত হচ্ছিল তখন মহাত্মাজী দেশের হাজার হাজার ছেলে মেয়েদের পুলিশের লাঠি ও মিলিটারীর সঙ্গীনের মুখে বুক পেতে দাঁড়াতে শিখিয়ে ছিলেন, আর আজ সেই হিংসা যখন দেশের দিক থেকে বিদেশীর উচ্ছেদের জন্য উঠছে তখন তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়! সত্যকার অকপট অহিংস সত্যাগ্রহী যিনি তিনি সকল ক্ষেত্রে সর্ব্বঅবস্থার তাঁর অপরাজেয় প্রেমের ও করুণার শক্তি নিয়ে হানাহানির মাঝখানে গিয়ে দাঁড়াবেন। হিংসায় ও জাতিবিদ্বেষে যতই হবে আকাশ সমাচ্ছন্ন, ততই সে প্রেম-সূর্য্য জ্বলবে তার অপ্রতিহত ভেজে। শুধু মহাত্মাজীরই ত্রুটি আছে তা’ নয়, দেশের বহু নেতা মুখে দেখান অহিংসার ভাব, অন্তরে শ্রদ্ধা করেন ইংরাজঘাতক সন্ত্রাসবাদীর মোরিয়া সাহসকে, তথাকথিত আত্মত্যাগকে। অহিংসা তাঁদের কাছে একটা রাজনীতিক চাল বা অস্ত্র—a political expediency মাত্র।
আসলে প্রকৃত অহিংসা হচ্ছে একটি পরমার্থ সত্য, যোগীজনসুলভ গুণ, তা’ তুচ্ছ নীতিবাক্য নয়। নীতিবাদী মহাত্মাজী এই অপরাজেয় প্রেমশক্তিকে চিনেন না। বনের হিংস্র বাঘকে ধ্যানস্থ যোগীর পদলেহন করতে আমরা শুনেছি, কারণ আত্মার শক্তি ও বিভূতিস্বরূপ সেই অহিংসা ও করুণা ইচ্ছামাত্রেই বা স্পর্শমাত্রেই হিংসা ও ক্রুরতাকে পরাস্ত করতে পারে। সেই Soul- force বা
৮৭