সোভিয়েটতন্দ্র কি বিশ্বব্যাপী গণ-আন্দোলন?
সঙ্গে সব ব্যবহারে মানবতার এই মহত্তর মন্ত্রকে রূপ দেবার প্রয়াস পেতে হবে, পরমার্থ সভ্যতার এই উচ্চস্তরে রাজনীতি, সমাজ, বাণিজ্য, শাসন সমস্তকে তুলে রূপান্তরিত করতে হবে। ভারতের অন্তর-দেবতার মনীষা ও প্রেরণা এই উজ্জল মন্ত্র ও তাহার ঋত্বিক মহাত্মাজীকে তার জীবন-যজ্ঞাগ্নি থেকে তুলে ধরেছে। এখানে দুর্ব্বলতা বা কর্ত্তব্যচ্যুতি মানে অধর্ম্মাচরণ। একবার এ অপূর্ব্ব মন্ত্র দিয়ে, প্রচার করে, এমন ভাবে জীবনে গ্রহণ করে ভারত আর পিছু হটতে পারে না। দেশের নেতারা যাঁরা ভারতের সন্তান, এই ঋষিপদধুলিপূত তপোভূমির সন্তান বলে গর্ব্ব করেন তাঁদের প্রাণপণে এই অমল ধবল পুণ্য ধ্বজা দুই হাতে তুলে ধরে রাখতে হবে; ভারতের রাজনীতিক জীবনের, অর্থনীতির, বাণিজ্যের সব কর্ম্ম-পন্থাগুলিকে এই সত্যের আলোয় ঢেলে সাজতে হবে। এ ব্রত কঠিন বললে চলবে না। ভারতে এত দিন যোগীরা ও সন্ন্যাসীরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে ও সাধনায় অহিংসা, সমতা ও নিষ্কামতা অভ্যাস করেছেন, এখন এসেছে জাতির সমষ্টিগত সাধনার পালা। ব্যক্তির জীবনে এই সাধনা যতই বড় হউক, তা’ ব্যর্থ হয় যদি তার আবেষ্টন তার পারিপার্শ্বিক থাকে মলিন স্বার্থদুষ্ট, যদি তার দেশ সমাজ ও জাতি চলে ক্রুরতা, হিংসা ও উগ্র সঙ্কীর্ণ কামনার পথে। শ্রীচৈতন্যের প্রেম তাই নেড়ানেড়ীর খঞ্জনীতে আবদ্ধ থেকে পঙ্কিল হয়ে নষ্ট হ’লো, শ্রীরামকৃষ্ণের সর্ব্বধর্ম্মসমন্বয় —“যত মত তত পথ” তাই জাতীয় জীবনে আজও কোন ছায়াপাত করতে পারলো না, হিন্দুমুসলমান সমস্যা ও জাতিভেদ তাই আজও সমান দ্বেষ-দুষ্ট হয়ে রয়ে গেল।
দেশের নেতাদের কর্তব্য দেশের তরুণদের জীবনে নূতন মন্ত্র,
৮৯