ভারতমাতা চক্ষুরুন্মীলন পূর্ব্বক আমার প্রতি নেত্রপাত করিলেন, তাঁহার সেই সুপ্রশান্ত নেত্রপাত মাত্রেই আমি আপনাকে চরিতার্থ ও কৃতকৃতার্থ বোধ করিলাম এবং আমার সকল ক্লেশ শান্তি ও সকল দুঃখ এককালে দূর বোধ হইল। তদনন্তর তিনি তর্জ্জন গর্জ্জন পূর্ব্বক আমাকে বলিতে লাগিলেন, অয়ি ভ্রান্ত পথিক! কে বলে ভারত অন্ধকারময় ও জ্যোতিঃহীন। কে বলে ভারত আলোকশূন্য। কে বলে ভারত নিস্প্রদীপ হইয়াছে এবং কে বলে ভারত শ্মশান সমান। কে বলে লক্ষ্মী সাগর পরে গিয়া অবস্থিতি করিতেছেন। কে বলে স্বরস্বতী দেশান্তরে গমন করিয়াছেন এবং কে বলে ধর্ম্ম অন্তর্হিত হইয়াছেন। ঐ দেখ পূর্ব্ব দিক্ ভাগে শ্রোতস্বতী জাহ্নবীতীরস্থিতা প্রসিদ্ধা কাশীম বাজার নগরিতে আমার সকল দুঃখবিমোচনী প্রাণাধিকা প্রিয়তমা কন্যা মহারাণী স্বর্ণময়ীরূপ মহাশশির উদয় হইয়াছে ও তদ্বারা ভারতের সমস্ত তিমির এককালে বিনষ্ট হইয়াছে দেখিতে পাইতেছ না এবং তাঁহার সেই নির্ম্মল আলোকে দীন দুঃখি অনাথ ও অন্ধ প্রভৃতি সকলেই সুন্দর দৃষ্টি লাভ করিয়াছে ও আপন
পাতা:ভারত দীধিতি - দীননাথ দাস চন্দ.pdf/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারত দীধিতি।
১৭
৩