পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বার্ক বর্ণিত সুবিধাবাদের দর্শনে বিশ্বাসী। ঐ দর্শন গ্রহণ করিবার মতো অবস্থা আমাদের আজো আসে নাই। আমরা জাতি গঠন করিতে আসিয়াছি, এবং হ্যাম্পডেন ও ক্রমওয়েলের আপোষহীন আদর্শবাদ ভিন্ন তাহা সম্ভব নহে।...আমার এই বিশ্বাস জন্মিয়াছে যে বৃটিশ সরকারের সহিত সকল সম্পর্ক ছেদ করিবার সময় আজ উপস্থিত। প্রতি সরকারি কর্মচারী, সে তুচ্ছ চাপরাশিই হোক বা প্রাদেশিক গভর্নরই হোক, নিজের কাজের দ্বারা কেবল বৃটিশ সরকারের বনিয়াদকে পাকা করিতেছে। সরকারের অবসান করিবার শ্রেষ্ঠ উপায় তাহার নিকট হইতে সরিয়া আসা। আমি টলস্টয়ের নীতির কথা শুনিয়া বা গান্ধীর প্রচারে মুগ্ধ হইয়া একথা বলিতেছি না, নিজে উপলব্ধি করিয়া বলিতেছি।...কয়েকদিন হইল আমার পদত্যাগপত্র দাখিল করিয়াছি। গৃহীত হওয়ার সংবাদ এখনো হস্তগত হয় নাই। “আমার চিঠির উত্তরে চিত্তরঞ্জন সম্প্রতি দেশে যে কাজ চলিতেছে তাহার বিষয়ে লিখিয়াছেন। বর্তমানে আন্তরিকতাপণ কর্মীদের অভাব সম্বন্ধে তিনি অভিযোগ করিয়াছেন। সুতরাং দেশে ফিরিবার পর অনেক প্রীতিপ্রদ কাজ আমার হাতের কাছে পাইব।...আর কিছু আমার বলিবার নাই। আমার হাতের কড়ি আমি ফেলিয়াছি, এখন আশা করা যাউক যে ইহা হইতে কেবল সুফলই জন্মিবে।”


১৮ই মে কেম্ব‌্রিজ থেকে লিখলাম:

“স্যর উইলিয়ম ডিউক আমাকে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে রাজী করাইতে চেষ্টা করিতেছেন। তিনি এ বিষয়ে বড়দাদার সহিত পত্রালাপও করিয়াছেন। রবার্টস্ সাহেবও আমাকে আমার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করিতে পরামর্শ দিয়াছেন। ইণ্ডিয়া অফিসের

১৪৭