পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@T杰5-巫可q目 মাস্তুলের পর মাস্থল তার উপরে মা স্কুল,--মাস্থলের এক নিবিড় অরণ্য,- ভিন্ন ভিন্ন জাতির জাতীয় পতাকা পবন ভরে আন্দোলিত হইয়া স্ব স্ব স্বাতন্ত্র্য প্ৰকাশ করিতেছে ; কি সুন্দর-—কি মহিমা ব্যঞ্জক, তখন ইংরেজরাজের অদম্য উদ্যমশীলতা ও পুরুষকারের প্রশংসার সহিত বিজয়-সঙ্গীত না গাহিয়া থাকিতে পারা যায় না । বোম্বাই সহরে দেখিবার যে কত আছে তাহার ইয়াত্তা নাই। ডক, ব্যাঙ্ক, কালেজ, বাজার, যেদিকে দৃষ্টিপাত করিবে সে দিকেই তোমার মন আকর্ষণ করিবে । নগরের চারিদিকে ছোট ছোট পাহাড়, সে সব পাহাড়ের উপর আরোহণ করিলে নারিকেলের সুশ্যামল কুঞ্জের অভ্যন্তরে সৌধাবলীর শ্বেতচ্ছবি ও কলকারখানাগুলির উচ্চ ধুম-ধ্বজ দৃষ্টিপথে পতিত হয়। বোম্বাই নগরীকে এসিয়ার ম্যাঞ্চেয়টার বলিলেও অতু্যক্তি হয় না, কারণ সমুদয় ভারতবর্ষে যে সূত্র ও কাপড়ের কল আছে তাহাদের মূলধনের সমষ্টি ৩ কোটি বিশলক্ষ টাকা এবং সৰ্ব্বসমেত স্ত্রী ও পুরুষে ১৮ ,০০০ মজুর খাটিয়া থাকে, এবং মোট ১৯২টি কার পান ও ৫০ লক্ষ টাকু (spindle) আর এক বোম্বাই সহরেই ৮০টা কারখানা, ২০ লক্ষ টাকু এবং ৮৬০ ০০ মজুর খাটে। এস্থানের বণিকদের কার্পস-শিল্পের অবস্থা অত্যন্ত উন্নত, রপ্তানী মালের প্রভাব অত্যন্ত বেশী, বোম্বাই নগরীর কনসলের রিপোর্ট হইতে জানা যায় যে ১৮৯৬ সন হইতে নিদারুণ মহামারী ( প্লেগ ) এই নগরে স্থায়ীরূপে আডিডা করা সত্ত্বেও ইহার সুবিস্তৃত ব্যবসা বাণিজ্যের কোনওরূপ অন্তরায় হয় নাই। ভারতবর্ষের কাপাস-শিল্প ব্যবসায়ের একমাত্ৰ বোম্বাই নগরীই কেন্দ্ৰস্থান। বোম্বাই কন্সলের রিপোর্ট হইতে আরও জানা যায় যে ১৯০২-১৯০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে পৃথিবীর নানা দেশ হইতে বাষ্পীয় পোত ও পালের জাহাজ মােট ৯১১ খান ১২৯০২৬৫ টন মাল লইয়া আসিয়াছিল এবং ৭২৮ খানা বাষ্পীয় পোত ও পালের জাহাজ ১২০৪২৯৩ টন ওজনের মাল বহন করিয়া লইয়া গিয়াছে। মোট যাতায়াতে ১৬৩৯ খানি জাহাজ ও ২৪৯৪৫৫৮ টন ওজনের মাল আমদানী ও রপ্তানী হইয়াছে, ইহা হইতেই বোম্বাই নগরীর বাণিজ্যের শ্রেষ্ঠত্ব পাঠকবর্গ অনুভব করিতে পরিবেন। সমস্ত ভারতের बावन बखिा ।